রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, কেউ মাটি কাটছেন, কেউ সেই মাটি বস্তায় ভরছেন, কেউ আবার সারি বেঁধে হাতে হাতে মাটি নিয়ে উঁচুনিচু মাঠ ভরাট করছেন। আবার কেউ তাঁবু টানাচ্ছেন, শৌচাগার পরিচ্ছন্ন করছেন, মাঠ পরিষ্কারের কাজ করছেন।
এদের সবাই স্বেচ্ছাশ্রমে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তেই এসব কাজ করছেন বলে জানান বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রস্তুতির কাজে এবার ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের অংশগ্রহণ দেখা গেছে বেশি।
গাজীপুরের বেশিরভাগ মাদরাসাই ইজতেমা উপলক্ষে শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে ক্লাস বন্ধ করে ইজতেমা ময়দানের কাজ করছেন।
ময়দানে সাক্ষাৎ হয় টঙ্গীর জামিয়া রহমানিয়া সওতুল হেরার ইফতা বিভাগের ছাত্র মাওলানা হাবিবের সঙ্গে। তিনি জানান, এখানে কোনো কাজ নির্ধারণ করা নেই। সবাই নিজ ইচ্ছায় এসে কাজ করছেন। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নামাজ পড়তে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য তিনি মাঠ সমানের কাজ করছেন বলে জানান।
গাজীপুর কালিগঞ্জ থেকে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশ নিয়েছেন বলে জানান হাফেজ আফতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, গতকাল অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকায় তারা এসেছেন। উদ্দেশ্য একটাই, আল্লাহকে খুশি করা।
বাটা গেট দিয়ে ময়দানে ঢুকে রোডের মাথায় বাঁ পাশে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ সারির মাধ্যমে মাটি বহন করে মাঠের উঁচুনিচু জায়গা সমান করছেন বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। সেখানে কথা হয় টঙ্গী দারুল উলুমের ছাত্র মো. আবদুল করিমের সঙ্গে। তিনি জানান, তার মাদরাসার প্রিন্সিপাল প্রসিদ্ধ আলেমে দ্বীন মুফতি মাসউদুল কারিম ‘তাবলিগ ইস্যু’তে সমাধানের লক্ষ্যে বেশ সচেষ্ট ছিলেন। তিনি ছাত্রদের মাঠে কাজ করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাছাড়া তার মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষকরাও তাবলিগের কাজের প্রতি বেশ আন্তরিক। তবে অন্ন পক্ষের অনৈতিক কিছু কারণে মনোক্ষুন্ন। তারপরও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রহমাতুল্লাহ নামের আরেকজন জানান, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য ঢাকার উত্তরা থেকে স্বেচ্ছায় কাজ করতে এসেছেন তিনি।
আশা করা যাচ্ছে, আগামী মঙ্গলবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে মাঠের সার্বিক কাজ সম্পন্ন হবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এমএমইউ