সম্প্রতি গির্জার স্থানে নির্মিত মসজিদটির উদ্বোধনের সময় তিনি ইসলামধর্ম গ্রহণের বিস্তারিত কারণ উল্লেখ করেছেন। খবর ইন্টারন্যাশনাল কোরআন নিউজ এজেন্সির।
জানা গেছে, ‘গড’স কল’ নামক চার্চের সাবেক পাদ্রি চার্লস ওকাওয়ানি নিজের নাম পরিবর্তন করে ইসমাইল ওকাওয়ানি রেখেছেন। তিনি কেনিয়ার কিসি শহরের মুসলিম আলেম ও পণ্ডিত মুস্তাফা সাউকেইকের কাছে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন।
কেনিয়ায় অবস্থিত ইরানি কালচারাল সেন্টারের বরাতে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ‘ওহিয়ে এলাহি’ নামক গির্জায় খ্রিস্টানরা তাদের ইবাদত করতেন। কিন্তু বর্তমানে সব খ্রিস্টান পুণ্যার্থী (৬৩ জন) ইসলামধর্ম গ্রহণ করায় গির্জাটি মসজিদে পরিবর্তন করা হয়েছে।
কেনিয়ার মুসলিম উম্মাহ কমিটির চেয়ারম্যান, কেইসুমু শহরের ‘কল ডেভেলপমেন্ট’ গ্রুপের প্রতিনিধি এবং তুরস্কের খাইরাত আল-বারাকার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি শায়খ খালফান খামিসের উপস্থিতে গির্জার স্থানে নবনির্মিত মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইসমাইল ওকাওয়ানি বলেন, ‘বিশপ হিসাবে আমার মেয়াদকালে খ্রিস্টধর্মের বাণী প্রচারের জন্য কেনিয়ার মালিন্ডি, মুম্বাসা ও নাইরোবি এবং পার্শ্ববর্তী দেশ তানজানিয়ায় ভ্রমণ করেছি। তাই এসব এলাকায় বসবাসরত খ্রিস্টান ও মুসলমানদের সম্পর্কে অধ্যয়নের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলাম। এটি আমাকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত করেছিল যে, ইসলামই সর্বোৎকৃষ্ট ধর্ম। আর এ কারণে আমি ইসলামধর্মের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমার আগের চার্চটি আগে নায়ালগোসি গড’স কল চার্চ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন থেকে সেটি নায়ালগোসি জামে মসজি। এছাড়াও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইসলামধর্ম সম্পর্কে অধিক তথ্য জানতে এবং গবেষণা করতে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে যেতে আমি রাজি। প্রয়োজনে দীর্ঘ সফর করে আমি ইসলামধর্মের জ্ঞান অর্জন করবো।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, সাবেক পাদ্রি চার্লস ওকাওয়ানি ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন তার সঙ্গে গির্জার ২৩ সদস্যও ইসলাম গ্রহণ করেন।
সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির সূত্র মতে, খ্রিস্টান প্রধান দেশ কেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম। মোট জনগণের ১১.২% শতাংশ মুসলিম।
ইসলাম বিভাগে লিখতে পারেন আপনিও। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএমইউ