অন্যদিকে কেউ মারা গেলে তার কবরের আজাব মাফ হওয়ার জন্য এ ধরনের নিয়মে কালেমা পাঠের প্রথাটা বেশি। আর এ আমল করলে সত্যি কি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? সঠিক তথ্য জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর: কথাটি শুদ্ধ নয়। বরং এটি লোকমুখে প্রচলিত একটি কথা। যার কোনো প্রামাণ্যতা কিংবা ভিত্তি নেই। শায়েখ ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি সহিহ বা দুর্বল কোনো সনদেই বর্ণিত হয়নি। ’ (মাজমুউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ২৪/৩২৩)
কালেমা তাইয়েবা পাঠ করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী এটি উত্তম জিকির। এ কালেমা পাঠের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এখলাসের সঙ্গে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে সে জান্নাতে যাবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ১৯৬৮৯; শরহু মুশকিলিল আছার, হাদিস নং: ৪০০৩)
তবে কালেমা তাইয়েবা পাঠ করা কিংবা কোনো মৃত ব্যক্তির ইসালে সওয়াবের জন্য পাঠ করা উত্তম কাজ। কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখিত সংখ্যা ও পদ্ধতির কোনো দলিলভিত্তি নেই। ফলে এ পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসলাম বিভাগে লিখতে পারেন আপনিও। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএমইউ