জাপানি মুসলমানদের তথ্য সরবরাহকারী একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়, জাপানে প্রায় ১৭০টি নামাজঘর রয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে জাপানে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নামাজঘরের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত অমুসলিম দেশে ‘নামাজঘর’ (মসজিদ নয়) বলতে যেসব স্থান শুধুমাত্র মুসলিমদের ইবাদত-বন্দেগির জন্য নির্ধারিত। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অনুষ্ঠিত হয় না। তবে ইবাদতের জন্য দৈনিক ব্যবহৃত হয়।
জাপান জাতীয় পর্যটন সংস্থার মতে, গেল কয়েক বছর জাপানে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রচুর মুসলিম পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছেন। ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে পর্যটনক্ষেত্রে জাপান ইউরোপের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। তারা আরো বলেছে, ২০১৭ সালে জাপানে ভ্রমণকারী মুসলিম পর্যটকের সংখ্যা ৭ লাখের কাছাকাছি ছিল এবং এটি গত এক দশকে সাত গুণ বেশি মুসলিম পর্যটক গমনের সংখ্যা বলেও জানা গেছে।
জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কেন মিচি বলেন, শুধুমাত্র প্রার্থনা কক্ষ সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়। বরং মুসলিমদের রীতিনীতি ও সংস্কৃতি বুঝতে পারা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তাদের জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করা দরকার, যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
এছাড়াও আগামী অলিম্পিক গেমসকে সামনে রেখে মুসলিম খোলেয়াড় ও পর্যটকদের জন্য জাপান সরকারের ব্যবস্থাপনা মুগ্ধ করার মতো। অলিম্পিক গেমস চলাকালে ‘মোবাইল মসজিদ’র অগ্রিম ব্যবস্থা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টির পাশাপাশি সুনাম কুড়িয়েছে।
জানা গেছে, রুশ বিপ্লবের পর কয়েক শ তুর্কি মুসলিম জাপানে অভিবাসন গ্রহণের মাধ্যমে ১০২০ সালে সেখানে মুসলিমদের অভিযাত্রা শুরু হয়। ১৯৩০ সালে জাপানে মুসলিমদের সংখ্যা হাজারের কোঠায় পৌঁছে।
১৯৮০ থেকে জাপানে ইরান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিভিন্ন মুসলিমপরিবার বসত করলে মুসলমানদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পায়।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী (২০১০ সালে পরিচালিত) জাপানে এক লাখ ৮৫ হাজার মুসলিম নাগরিক রয়েছে বলে জানা যায়।
জাপান সরকারের মুসলিমবান্ধব আচরণ সংবাদমাধ্যমগুলোতে বেশ আলোচিত হচ্ছে। সে দেশের প্রায় সবগুলো বিমানবন্দরে মসজিদ ও অজুর অত্যাধুনিক ব্যবস্থার ভিডিওগুলোও যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
ইসলাম বিভাগে লিখতে পারেন আপনিও। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমএমইউ