মিথ্যার কারণে অন্তরে কপটতা সৃষ্টি হয়
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং পরিণামে তিনি তাদের অন্তরে নিফাক (দ্বিমুখিতা) রেখে দিলেন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তারা আল্লাহকে যে ওয়াদা দিয়েছে তা ভঙ্গ করার কারণে এবং তারা যে মিথ্যা বলেছিল তার কারণে। (সুরা তওবা, আয়অত : ৭৭)
মিথ্যা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সত্যবাদিতা হচ্ছে শুভ কাজ।
প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ শায়খ সানআনি বলেন, ‘হাদিসে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে যে, বান্দা সত্য বললে সত্যবাদিতা তার একটি আলামত হয়ে যায়। পক্ষান্তরে বান্দা মিথ্যা বললে মিথ্যা বলা তার অভ্যাস ও আলামতে পরিণত হয়। সত্যবাদিতা ব্যক্তিকে জান্নাতে নিয়ে যায় আর মিথ্যা ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিয়ে যায়। অধিকন্তু সত্যবাদীর কথার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে ও তা মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পায় আর মিথ্যুকদের কথার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে না এবং মানুষের নিকট তা গ্রহণযোগ্যতাও পায় না। ’ (সুবুলুস সালাম : ২/৬৮৭)
মিথ্যুকের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়
ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, যেসব কারণে ফতোয়া, সাক্ষ্য ও বর্ণনা গ্রহণযোগ্যতা হারায়, তার মধ্যে মিথ্যা অন্যতম। মিথ্যা মানুষের মুখের কার্যকারিতাই নষ্ট করে দেয়। যেমনিভাবে অন্ধ ব্যক্তির চাঁদ দেখার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং বধির ব্যক্তির শোনার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, মুখ একটি অঙ্গের ন্যায়, যখন তা মিথ্যা বলা আরম্ভ করবে তখন তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। বরং মানুষের ক্ষতির মূল কারণই হচ্ছে মিথ্যা জবান। (আলামুল মুয়াক্কিঈন : ১/৯৫)
মিথ্যার কারণে চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায়
দুনিয়া-আখেরাত উভয় জগতেই চেহারা বিবর্ণ ও মলিন হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে কেয়ামতের দিন তুমি তাদের চেহারাগুলো কালো দেখতে পাবে। ’ (জুমার, আয়াত : ৬০)
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এমএমইউ