উত্তর: নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেয়া জায়েজ। হাদিস শরিফে আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ (রহ.) বলেন, আমি মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.)-কে মিম্বরের উপর বসা অবস্থায় দেখেছি, মুয়াজ্জিন যখন আজানে আল্লাহু আকবার বললেন তখন তিনিও আল্লাহু আকবার বলেছেন...।
অন্য বর্ণনায় সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহ.) বলেন, ‘ইমাম খুতবার জন্য বের হলে নামাজ পড়া যাবে না আর ইমাম খুতবা শুরু করলে কথা বলা যাবে না। ’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং: ৫৩৩৯)
তবে খুতবার সময় যেহেতু চুপ থাকা ওয়াজিব, তাই ইমাম যদি আজানের পরে সঙ্গে সঙ্গে খুতবা শুরু করে দেন, তবে আজানের পর দোয়া পড়া যাবে না। কিন্তু ইমাম খুতবা শুরু করতে দেরি করলে আর আজান ও খুতবার মাঝখানে সময় পাওয়া গেলে আজানের পরের দোয়া পড়াও সুন্নত হিসেবে গণ্য হবে।
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘তোমরা যখন মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে শুনবে, তখন সে যা বলে তাই বলবে। তারপর আমার ওপর দুরূদ পাঠ করবে। কারণ যে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন। পরে আল্লাহর কাছে আমার জন্য ওসিলার দোয়া করবে। ওসিলা হলো জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কোনো এক বান্দাকে দেওয়া হবে। আমি আশা করি যে, আমিই হবো সেই বান্দা। যে আমার জন্য ওসিলার দোয়া করবে, তার জন্য আমার শাফাআত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (মুসলিম, হাদিস নং: ৭৩৫)
সার্বিক তথ্য: (ফাতহুল বারি: ২/৪৬০; ইলাউস সুনান ২/৮০; আসসিআয়াহ: ২/৫৩; হাশিয়াতুত তহতাবি আলালমারাকি: ২৮২; আততাজরিদ: ২/৪৭৭; আলমুগনি, ইবনে কুদামা: ৩/২০০)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব, সহকারী মুফতি, জামিয়া রহমানিয়া সওতুল হেরা, টঙ্গী, গাজীপুর। সম্পাদক, আরবি ম্যাগাজিন মাসিক 'আলহেরা'।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এমএমইউ