পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, বার্লিনে গত বছর জন্মগ্রহণকারী ২৮০ জন শিশুর নাম ‘মুহাম্মাদ’ রাখা হয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘লুইস’ (২৪৪) নামটি।
অন্যদিকে পরিসংখ্যানগত গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রেমেন শহরে ‘মুহাম্মাদ’ নামটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জার্মানিতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবং ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নামের কারণে এ নামের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত দীর্ঘকাল থেকে ভারতবর্ষের মুসলমানদের নামের শুরুতে মুহাম্মদ (পূর্ণ কিংবা সংক্ষিপ্ত আকারে) লেখার রীতি চালু রয়েছে। নামের শুরুতে মুহাম্মদ লেখা ধর্মীয় কোনো বিধান নয়। উপমহাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নামের আগে মুহাম্মাদ লেখার প্রচলন কম দেখা যায়। অন্য দেশগুলোতে মুহাম্মদ ব্যবহৃত হয় একটি স্বতন্ত্র নাম হিসেবে। কিন্তু মুহাম্মাদ নাম রাখার প্রবণতা শুধু মুসলিম বিশ্বে নয়, পশ্চিমা বিশ্বেও নবজাতকের নাম মুহাম্মদ রাখার প্রচলন ক্রমেই বেড়ে চলছে।
‘মুহাম্মদ’ শব্দের অর্থ প্রশংসিত। পবিত্র কোরআনে চার বার এ নামটি এসেছে। (সুরা আলে ইমরান-১৪৪, সুরা আহজাব-৪০, সুরা মুহাম্মদ-০২ ও সুরা আল-ফাতাহ এর ২৯ নং আয়াতে। )
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এমএমইউ