রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজযাত্রীদের ৯টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এ কার্যক্রম চলছে। অন্যান্য জেলার হজযাত্রীদের বিভাগীয় শহরে সরকারি হাসপাতাল, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এসব টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকা কেন্দ্রে যাবার সময় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের সরকারি হাসপাতাল কিংবা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে বুকের এক্স-রে, ইসিজি, রক্তের গ্রুপ, ইউরিন আর/ই, ব্লাড সুগার পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে যেতে। এছাড়াও গত তিনমাসের মধ্যে যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলোর প্রতিবেদন সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। তাদের নতুন করে তাদের পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বেসরকারি হজযাত্রীদের স্ব স্ব হজ এজেন্সির মাধ্যমে ই-হেলথ প্রোফাইল ফরমের প্রিন্ট কপি এবং সরকারি হজযাত্রীদের নিকস্থ রেজিস্ট্রেশন সেন্টার (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইউডিসি, আশকোনাস্থ হজ অফিস) হতে ই-হেলথ প্রোফাইল ফরমের প্রিন্ট কপি অথবা নিবন্ধন সনদ নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সরকারি এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজযাত্রীরা যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারবেন সেগুলো হলো—ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদাপাড়ার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা সেনানিবাস সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল।
ঢাকার আশকোনা হজ কার্যালয় মেডিকেল সেন্টারে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। অন্য সব জেলার হজযাত্রীরা বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারবেন। এই কেন্দ্রগুলো থেকে হজযাত্রীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মেনিনজাইটিস/ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ করবেন। কারণ, বিমানবন্দরে এই স্বাস্থ্যসনদ দেখাতে হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক হজযাত্রীর পাসপোর্টের পেছনে আবশ্যিকভাবে মক্কা ও মদিনার আবাসনের সঠিক ঠিকানাসংবলিত স্টিকার লাগিয়ে নিতে হবে।
হজযাত্রী চাই তিনি সরকারি বা বেসরকারি—যেকোনো ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হোন—নিজের নিবন্ধন সনদ তিনি নিজেই সংরক্ষণ করবেন। ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে নিজেই তিনি হজের ওয়েবসাইটে (www.hajj.gov.bd) তথ্যাদি যাচাই করতে পারবেন।
এরপর পিলগ্রিম আইডি নিশ্চিত করার জন্য হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। ভিসা নিশ্চিত করতে হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। বিমানের টিকিট ও ফ্লাইটের তারিখ নিশ্চিত করতে হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন নিতে হবে।
এছাড়াও জরুরি কোনো তথ্যের প্রয়োজনে ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এমএমইউ