উত্তর: এক্ষেত্রে আপনার ওপর ওয়াজিব (আবশ্যক করণীয়) হলো, অজু করে পুনরায় নামাজ আদায় করা। ফিকাহবিদরা এ অভিমতের ওপর ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘পবিত্রতা ছাড়া কোনো নামাজ কবুল করা হয় না। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ২২৪)
প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ও ফিকাহবিদ ইমাম শরফ আন-নববি (রহ.) বলেন, ‘অজুহীন ব্যক্তির জন্য নামাজ পড়া হারাম; এ ব্যাপারে আলেম-উলামারা একমত হয়েছেন। তারা এ ব্যাপারেও ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন যে, এমন ব্যক্তির নামাজ শুদ্ধ হবে না; অজু না থাকা সম্পর্কে সে অবগত থাকুক কিংবা অজ্ঞ হোক। কিংবা অজু না থাকার কথা ভুলে গিয়ে থাকুক। তবে সে যদি একদম অজ্ঞ হয় কিংবা পুরোপুরি ভুলে গিয়ে থাকে, তাহলে তার কোনো গুনাহ হবে না। আর যদি তার অজু না-থাকার বিষয়টি ও অজু ছাড়া নামাজ হারাম হওয়ার বিষয়টি জেনেও সে নামাজ পড়ে এবং পড়ে থাকলে পুনরায় আদায় না করে, তাহলে সে জঘন্য গুনাহে লিপ্ত। ’ (আল-মাজমু, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৭৯)
প্রশ্নটি করেছেন: রিফাত হাসনাত, ডোমার, নীলফামারী
ইসলাম বিভাগে আপনিও জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন করতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এমএমইউ