জানা গেছে, মক্কা নগরী নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ‘আল-মাশাহির ট্রেন’র সার্বিক অবস্থা তত্ত্বাবধান করছে এখন। এর আগে যথাসময়ে ট্রেনটি প্রস্তুত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানির ১৫ হাজার ৪১৯ জন শ্রমিক ও কর্মকর্তা একযোগে কাজ করেছেন।
এবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘আল-মাশাহির ট্রেন’টি মিনা থেকে আরাফাত এবং আরাফাত থেকে নাফরাহ হয়ে মিনায় ফিরে আসবে। আশা করা হচ্ছে, এতে ৩ লাখ ৬০ হাজার হজযাত্রী যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও ‘আইয়ামে তাশরিক’র দিন দিবসে ‘আল-মাশাহির ট্রেনে’ বিপুল সংখ্যক হজযাত্রী আরোহন করবেন। এতে তাদের সংখ্যা দুই মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: ‘হারামাইন ট্রেন’ মধ্যপ্রাচ্যের বৃহৎ যাতায়াত ব্যবস্থা
চীনা রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড (সিআরসিসি) মক্কা লাইট রেল নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন। সৌদি সরকার কর্তৃক অনুমোদনের পরে সংস্থাটি ২০১৮ সালের এপ্রিলে ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভিত্তিতে সামগ্রিক কাজ সংস্কারের চুক্তি করে।
‘মক্কা লাইট রেল’ মধ্যপ্রাচ্যে চীনা সংস্থার মাধ্যমে নির্মিত প্রথম রেলপথ। হজের মৌসুমে ট্রেনটি যানজট দূর করে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য দেবে। হজযাত্রীদের সহজতার জন্য এটি হজের প্রধান তিনটি স্থানের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। ঘুরে-ফিরে এই তিনটি স্থানে হজযাত্রীদের পরিবহন করা হবে।
প্রতি বছর ২০ লাখেরও বেশি হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে সৌদি যান। হজ ইসলামের মৌলিক পঞ্চম স্তম্ভের অন্যতম। এতে আর্থিক, কায়িক ও আধ্যাত্মিক—শ্রমের সমন্বয় রয়েছে। এটি মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র সম্মিলন ও ঐক্যের আহুত সমাবেশ। সামগ্রিক দিক থেকে শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলমানই জীবদ্দশায় একবার এই তীর্থযাত্রা করবেন বলে আশা করা যায়। এই মৌসুমের হজ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ০৯ আগস্ট থেকে থেকে ১৪ আগস্টের ভেতর হবে।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমএমইউ