♦ অবশ্যই নামাজ শরিয়ত সমর্থিত কোনো অপারগতা ছাড়া আদায়কারীর জন্য নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ নেই। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৩৩)
♦ আপন মা-বাবা ডেকে থাকলে, নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ আছে।
♦ নামাজ আদায়কারী নামাজে থাকাকালীন যদি লক্ষ্য করেন, কোনো অন্ধ কূপ অথবা কোনো গর্তের যাচ্ছে এবং কূপে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৫)
♦ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি কাউকে চুরি করতে দেখেন, তখন নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। তবে চুরির জিনিস ন্যূনতম এক দিরহাম সমপরিমাণ মূল্যের হতে হবে। জিনিসটি নামাজ আদায়কারী অথবা অন্য কারো হলেও নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ৪/৪১২)
♦ কেউ ব্যক্তি নামাজ আদায় করছেন, এমন অবস্থায় যদি কোনো নির্যাতিত ব্যক্তি নামাজ আদায়কারীর প্রতি সাহায্যের আবেদন করে আওয়াজ করেন; আর নামাজ আদায়কারী যদি মনে করেন তাকে জুলুম-অত্যাচার থেকে বাঁচাতে পারবেন, তখন নামাজ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৫)
♦ সফররত ব্যক্তি যদি চোরের ভয়ে শঙ্কিত হন, তবে নামাজ বিলম্ব করা জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৩)
♦ অনুরূপভাবে ফিকাহবিদরা বলেন, সফররত ব্যক্তি নামাজে থাকাকালীন যদি যানবাহন ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন নামাজ ভেঙে দিতে পারবেন।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লেখা-প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন ও বিষয়ভিত্তিক লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এমএমইউ