প্রতিমন্ত্রী রোববার (২৭ অক্টোবর) আশকোনায় হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকারের ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচির অধীনে প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করেছেন। ২০২০ সালে সব হজযাত্রীকে এ কর্মসূচির অধীনে আনা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভবিষ্যতে হজযাত্রীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও বৃদ্ধি পাবে। তাই এখন থেকে হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি জানান, ২০১৯ সালে মোট ৩৬৬টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পরিচালিত হজযাত্রীদের মধ্যে যারা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচির অধীন হজে গিয়েছেন তাদেরকে লাগেজ ট্যাগ গ্রহণ ও ইমিগ্রেশন নিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই ২০২০ সালের সব হজযাত্রীদের বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজ ক্যাম্পে করার পরিকল্পনা নেওয়া করা হয়েছে।
সভায় ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান ছাড়াও হজ অফিস, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হজ্জ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আরো প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস