জাদুঘরের জন্য নকশা ও নির্মাণশৈলী ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। নির্মাণ-কার্যক্রমও শিগগির শুরু হবে।
এপ্রসঙ্গে আ’রি প্রদেশের গভর্নর সুলেইমান এলবান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লোকজ-বিশ্বাস অনুযায়ী মহাপ্লাবনের পর আ’রি (আরারাত) পাহাড়ের ওপরে নূহ (আ.)-এর নৌকা থেমেছে। তাই এই স্থানেই জাদুঘরটি স্থাপন করা হচ্ছে।
সুলেইমান এলবান বলেন, জাদুঘরে মহাপ্লাবন ও নূহ (আ.) কাহিনী মানুষের কাছে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বের দর্শনার্থীদের এই জাদুঘরের প্রতি আকৃষ্ট করতে আমরা কাজ করছি। আমাদের ধারণা, জাদুঘরটি উদ্বোধনের পাঁচ বছরের মধ্যে দশ লাখের মত দর্শক এখানে আমরা নিয়ে আসতে পারবো।
আল্লাহর নবী হজরত নূহ (আ.) ছিলেন আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-এর অষ্টম অথবা দশম অধঃস্তন পুরুষ। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে হযরত নূহ (আ.)-এর আখ্যান এবং তার সম্প্রদায়ের ঈমানদারদের মুক্তি পাওয়া ও অস্বীকারকারীদের মহাপ্লাবনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার বর্ণনা-কাহিনি আলোচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নূহ নবীর নৌকার প্রতিরূপ তৈরি নেদারল্যান্ডসে
পবিত্র কোরআনের মোট ২৮টি সুরার ৮১টি আয়াতে এ সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। তিনি সুদীর্ঘ ৯৫০ বছর দুনিয়ায় ছিলেন। এতো দীর্ঘ সময় ধরে তার জাতিকে তিনি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার দাওয়াত দিলেও মাত্র ৮০ বা ৮১ জন সমান নারী-পুরুষ ঈমান এনেছিলেন।
ফলে বারবার সতর্ক করার পর আল্লাহতাআলার নির্দেশে প্রলয়ঙ্করী ঝড় ও মহাপ্লাবনের হাত থেকে তৎকালীন ঈমানদার মানুষ ও জীবজন্তুকে বাঁচানোর জন্য হযরত নূহ (আ.) একটি বৃহৎ নৌকা তৈরি করেছিলেন।
নূহ (আ.)-এর নৌকাটির দৈর্ঘ্য ১২শ’ গজ ও প্রস্থ ৬শ’ গজ ছিল। এছাড়াও এটি তিনতলা বিশিষ্ট ছিল। প্রথম তলায় গৃহপালিত ও হিংস্র জীব-জন্তু, দ্বিতীয় তলায় মানুষ এবং তৃতীয় তলায় ছিল পাখ-পাখালি। নৌকায় চল্লিশ জোড়া নারী-পুরুষ ছিলেন। তারা এতে ১২০ দিন অবস্থান করেন। প্লাবনের পর নৌকাটি ‘জুদি’ পাহাড়ে গিয়ে নোঙর করে। অনেকের দাবি মতে, আ’রি (আরারাত) পাহাড়ের চূড়ায় (যেখানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হচ্ছে)।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে ই-মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএমইউ