কিছুদিন আগে সান দিয়েগোতে অবস্থিত মুসলিম নারীদের একটি সেবামূলক ফাউন্ডেশন তাদের কর্মপ্রকল্প চালু করে। তারা একটি গুদাম কিনে সেটিকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করে।
আশ্রয়কেন্দ্রটি মুসলিম এলাকায় অবস্থিত। তবে এতে সব ধর্মের লোকদের সহায়তা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি অভিবাসী শিশুদের নিয়ে ও নির্বাসিত নারীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেবে সেবা-সংস্থাটি।
এই প্রসঙ্গে ‘লাতিনা মুসলিম ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া গার্সিয়া বলেন, কেবল অভিবাসীদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজন তা নয়। বরং নির্বাসিত লোকদেরও আশ্রয় কেন্দ্রের খুব প্রয়োজন রয়েছে।
লাতিনা মুসলিম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মায়েত গুতেরেস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এমন কিছু মুসলিম অভিবাসী রয়েছেন যারা অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করে নিরাপদবোধ করেন না। কারণ তারা তাদের বিশ্বাসের কারণে বৈষম্যের শিকার হন।
আমরা চাইছি, আমাদের মুসলিম ভাই-বোনরা যেন জানতে ও অনুভব করতে পারে যে, মেক্সিকোও তাদের আশ্রয় ও অবস্থানের সুন্দর জায়গা। সে জন্যই আমরা এই আশ্রয়কেন্দ্রটির ব্যবস্থা করেছি।
গুতেরেস আরও বলেন, তারা মেক্সিকোতে থাকতে চায় কিনা কিংবা আমেরিকাতে আশ্রয় প্রার্থনা করবে কিনা—সে ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করার জন্য আমরা এখানে রয়েছি।
কয়েক মাস আগে আমেরিকান মুসলিমরা আটক অভিবাসী বাবা-মাকে জামিন দেওয়ার জন্য নতুন পরিকল্পনা মোতাবেক চেষ্টা শুরু করেন। বিচ্ছিন্ন পরিবারকে তারা যদ্দুর সম্ভব দ্রুত একত্রিত করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে মেক্সিকোর মুসলিমরাও বিভিন্নভাবে অভিবাসীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে ই-মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএমইউ