প্রতিমন্ত্রী লন্ডনের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী বিশ্ব হজ ও ওমরা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের দলনেতার বক্তব্যে একথা বলেন।
দফাগুলো হলো: সৌদি সরকারের রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশের শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকায় করানো, হজযাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা আরো দ্রুত ও উন্নত করা, বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা বাড়ানো, হজের ব্যয় কমানো, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানো, হজ ও ওমরাহ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জেদ্দা ও মদিনা এয়ারপোর্টে হজযাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর কমানো, সব দেশের হাজিদের সুবিধার জন্য মিনার আয়তন বাড়াতে রাজকীয় সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানানো, মাশায়ের মোকাদ্দাসায় হাজিদের সুবিধা বৃদ্ধি এবং হাজিদের খাবার সরবরাহে সৌদি আরবের প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর বাধ্যবাধকতা বন্ধ করা।
বিশ্ব হজ ও ওমরা সম্মেলনের সিইও মোহসিন তোতলা, নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল হজ অ্যান্ড ওমরাহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বশির, স্বাগতিক যুক্তরাজ্য এবং সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ ২৫টি দেশের প্রতিনিধি এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, ব্রিটিশ হজ ও ওমরা কাউন্সিলের সহযোগিতায় বিভিন্ন সরকারের হজ মিশনের প্রতিনিধি এবং হজ ও ওমরাহ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা পূর্ববর্তী বছরের হজ ও ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বিগত আট বছর যাবত অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে হজযাত্রীদের হজ টার্মিনাল, টেলিযোগাযোগ সেবা, খাবার ব্যবস্থাপনা, হোটেল, আবাসন, প্রযুক্তি, পরিবহন এবং সারা বিশ্বের হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ উদ্যোগের ফলে পৃথিবীর লাখ লাখ হজযাত্রী উপকৃত হয়েছেন। এ সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজ ব্যবস্থানপার উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) দেওয়ান মাহমুদুল হক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস