ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

মক্কার উম্মুল-কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাতিগত সংস্কৃতি উৎসব’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
মক্কার উম্মুল-কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাতিগত সংস্কৃতি উৎসব’

মক্কা মুকাররামা (সৌদি আরব) থেকে: সৌদি আরবের বিশ্ববিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘জাতিগত সংস্কৃতি উৎসব’ পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম প্রায় চল্লিশটি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত অত্যন্ত বর্ণাঢ্য ও জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ‘লাল-সবুজ’র বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।

সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত চারদিন ব্যাপী এই সাংস্কৃতিক উৎসবটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের পক্ষ হতে ‘ছাত্র বিষয়ক অনুষদ’-এর সম্মানিত ডিন ড. উমর সুম্বুল উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশি স্টলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. আবুল হাসান।                     <div class=

" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/0220191116144345.jpg" style="border-style:solid; border-width:1px; margin:1px; width:100%" />

‘কুল্লুল কুরা ফি উম্মিল কুরা’ তথা ‘সব জনপদ এসে মিশেছে মক্কায়’ শিরোনামে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। দৃষ্টিনন্দন এই আয়োজন আগত দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি থেকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সহকারী ডিন, নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-ছাত্রদের আগমনে উৎসব-আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে।

এতে প্রায় পনেরটি দেশের কূটনৈতিক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে আগমন করেন। উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ, সৌদি আরবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনাব ড. আবুল হাসান উপস্থিত হন। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল জনাব কামরুজ্জামান ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে হাজির হন। শিক্ষার্থীদের এমন অংশগ্রহণ দেখে তারা আনন্দিত ও প্রফুল্ল হন।

দেশীয় সাজে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

প্রতিটি দেশই নিজেদের সমাজ-সংস্কৃতি, সভ্যতা, রীতিনীতি ও দৈনন্দিন যাপিত জীবনের অল্প-স্বল্প কিছু চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

নিজ দেশের খাবার, দেশীয় উপকরণ ও জাতীয় পোশাক ইত্যাদি এই উৎসবে উপস্থাপনের মূখ্য দিক ছিল। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মাঝে বাংলাদেশিদের আয়োজন ছিল অনেকটা ব্যতিক্রমী ও মুগ্ধতা-বৈচিত্র্যে ভরা।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্টলে বিভিন্ন রকমের খাবার-মিষ্টান্ন।

‘দেশ-দেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত ছিল চারিদিক। প্রতিটি ইভেন্টে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ছিল দৃষ্টিনন্দন ও অভাবনীয়। প্যারেডে পুরো প্রদর্শন যেন ছেয়ে গেছে লাল-সবুজের পতাকায়। দেশের গ্রাম্যজীবনের কিছু খণ্ডচিত্র অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার হয়েছে। দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পরিচিতি সংবলিত স্থিরচিত্র স্টলের দেয়ালে সাঁটানো ছিল।  

.

দেশীয় পোষাক, স্বদেশী নানা ধরনের খাবার, মিষ্টান্ন ও হরেক রকমের পিঠাপুলিতে পূর্ণ ছিলো পুরো কর্ণার। বরের পোশাক-পরিচ্ছদ, কনের জন্য ব্যবহৃত পালকী ও ঐতিহ্যবাহী রিকশা ইত্যাদির উপস্থাপন ছিল উল্লেখযোগ্য।  

উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় চল্লিশটি দেশের এক লক্ষ শিক্ষার্থী রয়েছে। সৌদির বাইরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রায় প্রায় ৭০ জন। এসব শিক্ষার্থী এমফিল ও পিএইচডিসহ বিভিন্ন স্তরে সুনামের সঙ্গে অধ্যয়ন করে বহির্বিশ্বে দেশের মান বৃদ্ধি করছেন।

লেখক: শিক্ষার্থী, উম্মুল-কুরা বিশ্ববিদ্যালয়, মক্কা মুকাররামা, সৌদি আরব।

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক লেখা ও জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।