বিশ্ব ইজতেমায় সাদপন্থি এক মুরুব্বি জানান, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা বৃহস্পতিবার বাদ আছর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। আম বয়ান করেন বাংলাদেশের ফায়সাল সুরা ওয়াসিফুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে মুসল্লিরা যার যার খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। বিভিন্ন যানবাহনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে দলবেঁধে মুসল্লিরা অবস্থান নিচ্ছেন ময়দানে। রান্না-বান্নার জিনিসপত্র রয়েছে তাদের সঙ্গে। দ্বিতীয়পর্বেও দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লি ইজতেমায় নেবেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমার মওলানাদের বয়ন শুনতে ও ইবাদত করবেন। তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। চলতি বছরের রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে সম্পন্ন হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব ভারতের মওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পরে রোববার (১২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে সম্পন্ন হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
এদিকে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাত স্তরে কাজ করছে পুলিশের প্রায় আট হাজার সদস্য। পুরো ইজতেমার মাঠ ঘিরে থাকবেন র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। পুলিশের নিজস্ব ১৬টি ওয়াচ টাওয়ারসহ র্যাবের নিজস্ব ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে পুরো ইজতেমা। মাঠের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
আরএস/এএটি