ঢাকা, রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

করোনা ভাইরাসের কারণে হজে যেতে না পারলে টাকা ফেরত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
করোনা ভাইরাসের কারণে হজে যেতে না পারলে টাকা ফেরত

ঢাকা: হজের নিবন্ধন করেও যেতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
 

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবার হজযাত্রী নিবন্ধনে অনেকটা ঢিমেতালে থাকায় নিবন্ধনের আহ্বান করে সরকারি ও বেসরকারি পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
 
রোববার (৮ মার্চ) সচিবালয়ে ২০২০ সালের হজ নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা জানান।


 
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আতঙ্কিত না হয়ে আগ্রহীদের হজের নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহ্বান জানানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, নিবন্ধনকারীদের আর্থিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিবন্ধন করে যারা হজে যেতে পারবেন না তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
 
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই অর্থাৎ, ৯ জিলহজ হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরে হজের জন্য আগামী ২৩ জুন শুরু হবে হজ ফ্লাইট। আর ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে।
 
গত ১ মার্চ থেকে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় ২ মার্চ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত ৭২৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৪৮ জন নিবন্ধন করেছেন বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
 
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাকা জমা দিয়ে কেউ যদি করোনা ভাইরাসের জন্য যেতে না পারে তাদের টাকা মার যাবে না। এবার যেতে না পারলে আগামীবার যেতে পারবেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ হচ্ছে। তারা সব রকমের সহযোগিতা দেবে।
 
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি হজ আদৌ সম্ভব না হয় টাকা ফেরতের ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং হাব যৌথভাবে হজযাত্রীদের জন্য সরকারিভাবে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও তারা সে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা তাদের দায়িত্ব নিচ্ছি।  
 
‘যারা টাকা দেবে, সেই টাকার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয় বহন করবে। কেউ যদি হজে যেতে না পারেন তারা যখন টাকা ফেরত চাবেন তখনই আমরা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। ’
 
হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে হজযাত্রীদের কোনো অসুবিধা হবে না, আমরা অনুরোধ করবো তারা যেন নিবন্ধন করেন।
 
সরকারি ব্যবস্থাপনার মতো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করোনা ভাইরাসের কারণে কোনো হজযাত্রীর যাতে একটি পয়সাও ঝুঁকি না থাকে, এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় যতোটা সক্রিয় একইভাবে হাবও সক্রিয়।
 
কোনো এজেন্সি টাকা নিয়ে ফেরত না দিলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, ভালো-মন্দ সবখানেই আছে। কোনো এসেন্সির দ্বারা যদি কোনো হজযাত্রীর সামান্যতম ক্ষতি-বিচ্যুতি হয়, এর দায়ভার তাকে নিতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় যেমন লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত, জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তি দেয়; আমরাও তার সদস্য পদ বাতিল ও অন্যান্য শান্তি দেই।
 
যতদিন পর্যন্ত সম্ভব হতে ততদিন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হবে বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি বাড়িয়ে তিনটি হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়েছে।
 
সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেশি। প্যাকেজ-২ এর মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ হাজার টাকা বেশি। সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সালে প্রথমবারের মত ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার নতুন প্যাকেজ-৩ এর প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ এজেন্সিরা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১, প্যাকেজ-২ ও প্যাকেজ-৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।