নীলফামারী: নীলফামারীতে প্রতিটি মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৩০মিনিটে। এরপর সকাল সাড়ে আটটা দ্বিতীয় এবং সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় জামাত।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে জেলার ছয় উপজেলায় মোট তিন হাজার ৩৩৭টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত। ইতোমধ্যেই সেই নির্দেশনা সর্বসাধারণকে অবগত করতে জেলা জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা তথ্য অফিস। নীলফামারী জেলায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নীলফামারী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ঈদগাহ মাঠ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা জীবানুমুক্ত করা হবে। জামাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসল্লিকে বাড়ি থেকে ওজু সেরে, মুখে মাস্ক পরে এবং জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক মসজিদের এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার তৈরী এবং নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে মুসল্লিদের শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি ও ঈমামদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো থেকে সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিশ্চিত করতে শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোন অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারবে না। এমনকি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদের ঈদের নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও হাত মেলাতে পারবেন না। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করবেন মসজিদের ঈমাম, মসজিদ কমিটি।
নীলফামারী ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মারুফ রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদুল আজহার নামাজের জামাত হবে জেলায় মোট তিন হাজার ৩৩৭টি মসজিদে। এরমধ্যে নীলফামারী সদরে ৭১৩টি, জলঢাকায় ৬২২টি, কিশোরগঞ্জে ৫৯৭টি, ডিমলায় ৫১৩টি, ডোমারে ৪৯১টি এবং সৈয়দপুরে ৪০১টি মসজিদ প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
কেএআর