কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স ছয় মাস সাত দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এবার আটটি দানবাক্স খুলে ছোট-বড় ১২টি বস্তায় টাকাগুলো ভরা হয়েছে।
শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।
দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় গণনার কাজ। গণনা শেষে বিকেলে দানের টাকার হিসাব পাওয়া যাবে।
সেখানে উপস্থিত আছেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি, মাহামুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তাসহ মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গার ওপর ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২০
আরএ