শিশুশ্রম হলো সামাজিক শোষণের দীর্ঘস্থায়ী এক হাতিয়ার। বর্তমানে বেঁচে থাকার তাগিদে কিংবা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে কোমলমতি শিশুদেরও প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হচ্ছে।
শিশুশ্রমের হারের ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয় সে দেশ উন্নয়নে কতটা পিছিয়ে আছে। তাই শিশু অধিকার নিশ্চিত ও শিশুশ্রম বন্ধ করতে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের কর্ণধার। তাই যেসব ব্যক্তি শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাধ্য করে কিংবা বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সেই সঙ্গে সবাইকে এটাও মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি শিশুই হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নেয়ামত, মা-বাবার কাছে পবিত্র আমানত। সন্তান মা-বাবার চোখের শীতলতা, হৃদয়ের প্রশান্তি আনয়ন করে। শিশুদের প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘শিশুরা হলো জান্নাতের প্রজাপতি। ’–মিশকাত শরীফ
মুসলিম শরিফের এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের মহৎ করে গড়ে তোলো এবং তাদের উত্তম আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দাও। ’ অপর এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সন্তানকে আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া সম্পদ দান করা অপেক্ষা উত্তম। ’ –বায়হাকি
শিশুদের যাবতীয় অধিকার নিশ্চিত করা একদিনে সম্ভব নয় এটা আমরা সবাই বুঝি। আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া তো অসম্ভব নয়। এই পদক্ষেপের মধ্যে প্রথমেই যেটা নেওয়া সম্ভব সেটি হলো বৈষম্য দূরীকরণ। আমাদের সংবিধানে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথাও বলা আছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে পরিবার হচ্ছে গোটা সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম একক। সমাজ বা রাষ্ট্রীয় জীবনে সঠিক ভূমিকা পালনের মৌলিক শিক্ষা লাভ করা হয় পারিবারিক পরিবেশে। তাই আমাদের সন্তানদের নিজ নিজ পরিমণ্ডলে শিশুকাল থেকেই নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। কেননা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের সন্তানদের স্নেহ কর এবং তাদের আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ো। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২১
এমআরএ