ইসলামি শরিয়তে মেয়েদের জন্য মেহেদি ব্যবহারের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। অনেকেই মেয়েদের পায়ে মেহেদি ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি করে থাকেন।
এরও কোনো দলিল-প্রমাণ হাদিস ও ফিকাহের কিতাবে পাওয়া যায় না।
তবে পুরুষের জন্য মেহেদি ব্যবহার করা জায়েজ নেই। কিন্তু যদি কোনো অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য মেহেদি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তখন পুরুষের জন্য মেহেদি ব্যবহার করা জায়েজ আছে।
আবু দাউদ শরিফের এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক মহিলা হজরত আয়েশা রাজিয়াল্লাহু আনহুর কাছে মেহেদি লাগানো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাবে বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই।
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের মেহেদি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছেন। সুতরাং নারীদের জন্য মেহেদি ব্যবহার করা মোস্তাহাব।
মেয়েরা পায়েও মেহেদি ব্যবহার করতে পারবে। যারা মনে করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেহেদি ব্যবহার করেছেন, তাই সেটি পায়ে ব্যবহার করা বেয়াদবি হবে, তাদের এ ধারণা সঠিক নয়।
নবী (সা.) মাথা মোবারকে তেল ব্যবহার করতেন, তাই বলে কী আমাদের শরীরে বা পায়ে তেল ব্যবহার নিষিদ্ধ? নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মেহেদি ব্যবহার করতেন, তা তো আর আমরা ব্যবহার করছি না। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেহ মোবারক স্পর্শ করা মেহেদির কোনো অংশও যদি আমরা সংরক্ষিত অবস্থায় পেতাম, তাহলে সেটা পায়ে কেন, মাথায় ব্যবহারের স্পর্ধাও দেখাতাম না।
জাওয়াহিরুল ফিকহ গ্রন্থে বলা হয়েছে, সাজ-সজ্জার উদ্যেশ্যে পুরুষরা কখনও হাতে-পায়ে মেহেদি লাগাতে পারবে না। কারণ মেহেদি এক ধরনের রঙ। আর পুরুষদের জন্য রঙ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
তবে পুরুষরা মাথার চুল ও দাঁড়িতে মেহেদি ব্যবহার করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
জেএইচটি