বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
জিএম কাদের বলেন, বিগত চার দিন ধরেই এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ফুসফুসের সংক্রমণ চিকিৎসকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কমছে না। এছাড়া তার কিডনিও প্রয়োজন মতো কাজ করছে না। ফলে তার শরীরে কিছুটা পানি জমেছে।
‘তবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকরা সাবেক রাষ্ট্রপতিকে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবাই দিয়ে যাচ্ছেন। পল্লীবন্ধুকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তারা। ’
জিএম কাদের বলেন, সিএমএইচের চিকিৎসকরা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই পল্লীবন্ধুর চিকিৎসা চালাচ্ছেন। সিএমএইচের চিকিৎসকরা মনে করলেই তাকে বিদেশ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ডাকা হবে।
আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) সারাদেশের মসজিদসহ বিভিন্ন প্রার্থনালয়ে তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান জিএম কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জাপা নেতা সুনীল শুভ রায়, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, আলমগীর সিকদার লোটন, জাপা উপদেষ্টা ড. মো. নুরুল আজাহার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. বেলাল হোসেন, মঞ্জুরুল হক, এমএ রাজ্জাক খান, জাকির হোসেন মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা- অ্যাডভোকেট তৈয়ব, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এর আগে বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে জানান জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।
গত ২৭ জুন সকালে অসুস্থবোধ করলে জাপা চেয়ারম্যানকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে একাধিকবার তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ও অবনতি ঘটে।
এরশাদ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও তিনি সিঙ্গাপুর থেকে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে ফেরেন। তারপর থেকে নিয়মিতই সিএমএইচে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯/আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা
এসএমএকে/এসএ/