মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ২টা ২৯ মিনিটে রংপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এরশাদের চতুর্থ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার আগে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাসহ আরও অনেকেই এরশাদের মরদেহ আটকে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় তারা বলেন, রংপুরে মানুষ এরশাদের সব সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে। ভালোবাসা থেকে সব সময় এরশাদের পাশে থেকেছে, কিন্তু মঙ্গলবার তার দাফন নিয়ে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে। কারও ষড়যন্ত্র সফল করতে দেওয়া হবে না। এ সময় তারা রক্ত দিয়ে হলেও এরশাদের মরদেহ রংপুর পল্লীনিবাসে দাফনের ঘোষণা দেন।
এদিকে জাপা নেতাদের এমন ঘোষণায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রংপুর থেকে ঢাকায় এরশাদের মরদেহ নিয়ে আসার সময় বড় ধরনের সংঘর্ষেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদগাহ মাঠে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে জাপা নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এর আগে, গত রোববার (১৪ জুলাই) সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এরশাদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ রাজধানীর কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য রাখা হয়। এরপর বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা শেষ হয়।
এদিকে, এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রংপুর নগরের সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া রংপুরে এরশাদের মরদেহ আনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে রংপুর পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
আরআইএস/