বন্ধুরা, বর্ষা নিয়ে এখনই যদি একটি ছড়া লিখতে বলা হয় তাহলে তোমরা কী লিখবে? তোমরা ভাবতে থাকো।
এই ফাঁকে আমি বলে দিই আমি হলে কী লিখতাম? আমি লিখতাম ‘বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে/সকাল দুপুর সাঁঝে/কেউবা ছাতায় কেউবা ভিজে/ছুটছে নিজের কাজে/বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে/মেঘের কোল বেয়ে/কোলাকুলি করছে ব্যাঙ/নতুন জল পেয়ে।
ওদিকে খোকাবাবু কী করছে জানো? নতুন একটি ঝুনঝুনি পাওয়ার খুশিতে দৌড়ে গেল ডালিম তলায়। গিয়ে দেখলো ফুল পাখি প্রজাপতি আরো নেক কিছুই সেখানে আছে। এ বিষয়টি ছড়ায় ছড়ায় বললে কেমন হয়। মনে হয় ভালোই হবে। শোনো তাহলে।
“কচি কচি পাতার ফাঁকে/কয় কথা কয় টুনটুনি/ডালিম তলায় খোকাবাবু/বাজায় লাল ঝুনঝুনি/রংধনুটা রংছিটিয়ে/দেয় উঁকি দেয় আকাশে/সন্ধ্যা রাতে কামিনি ফুল/সুবাস ছড়ায় বাতাসে/ফুলে ফুলে প্রজাপতি/দেয় ছড়িয়ে অনুরাগ/খোকাবাবু আঁকছে ছবি/রংতুলিতে হরিণ বাঘ। ”
তোমরা নিশ্চয় জানো বাঘ হরিণ কোথায় থাকে। কিংবা কোথায় গেলে এসব প্রাণীর দেখা মেলে। হ্যাঁ ঠিকই বলেছো। এসব প্রাণী দেখা যায় চিড়িয়খানা কিংবা সুন্দরবনে। তবে যেখানেই হোক এদের দেখতে গেলে সেখানে বেড়াতে যেতে হয়।
বেড়ানোর প্রসঙ্গ যখন এলো তখন বলি তোমরা দিনাজপুরের রামসাগরে কিংবা কান্তজির মন্দিরে বেড়াতে গেছো? না গেলে সময় পেলে বেড়িয়ে এসো। আমি যদি সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাই তাহলে কী করবো জানো? আমি “রাম রাজার রামসাগরে/ঘুরবো পালের নায়/দুলতে দুলতে যাবো মোরা/রাজবাড়ির কেল্লায়/চুপটি করে থাকবো বসে/হবো না অস্থির/কাল আমি দেখতে যাবো/কান্তজির মন্দির। ”
বন্ধুরা, ছড়াগুলো পড়তে পড়তে তোমরা নিশ্চয় মনপবনে ঘুরে এসেছো কান্তজির মন্দিরের টেরাকোটা আঁকা বারান্দা থেকে। সেইসঙ্গে জানতে ইচ্ছে করছে উপরের ছড়াগুলো কোন বইতে আছে।
যে বইটি থেকে পুরো ছড়াটিই পড়ে নেওয়া যাবে। হ্যাঁ, বন্ধুরা সে বইটির নাম ঝুনঝুনি। তোমাদের জন্য ছড়ার এইবইটি লিখেছেন লেখক বন্ধু শাহজাহান মোহাম্মদ। লেখক মজার মজার ২০টি ছড়া দিয়ে সাজিয়েছেন এ বইটি।
আর ছড়াগুলোর সঙ্গে মিলতাল করে ছবি এবং ৪ রঙা প্রচ্ছদ এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু মো. জাহিদুর রহমান খান। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার লোকালপ্রেস প্রকাশনী। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ সালে প্রকাশিত ক্রাউন সাইজের সম্পূর্ণ রঙিন ২৪ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য ১০০ (একশত) টাকা।
বাংলাদেম সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, ইচ্ছেঘুড়ি এডিটর[email protected]