ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রবীণদের চেয়ে শিশুরা এগিয়ে

তাহজিব হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১০
প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রবীণদের চেয়ে শিশুরা এগিয়ে

সাবেক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মিনার উদ্দিন তালুকদার একসময় পরিসংখ্যানের অনেক জটিল সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করেছেন। শিখেছেনও অনেক কিছু।



আর এ সাহস থেকেই কমপিউটারের ব্যবহার শেখার আগ্রহ বেড়ে যায়। এজন্য নতুন একটি কমপিউটারও কিনে নেন তিনি। তবে দীর্ঘ ছয় মাস চেষ্টার পর শুধু অন আর আফ, গান শোনা আর মুভি কীভাবে দেখতে হয় এতটুকুই রপ্ত করতে পেরেছেন। এর বেশি তেমন কিছু না।

তবে মিনার উদ্দিন সাহেবের নয় বছরের নাতি শপথ দাদার কমপিউটার চালানো দেখে কমপিউটারের অনেক কিছুই শিখে ফেলেছে। নতুন সফটওয়্যার ইন্সটল কিংবা আনইন্সটল করা, ইন্টারনেট ব্রাউজ বা ডাউলোড করা, ইমেইল আর ফেসবুকের ব্যবহার শপথের কাছে এখন খুবই সহজ ব্যাপার।

নয় বছরের শপথের কাছে কমপিউটার খেলনার মতো হলেও তার দাদার কাছে এটা সহজসাধ্য কোনো পরিচালনা যন্ত্র নয়। এ সমস্যা শুধু মিনার উদ্দিন তালুকদারের একার না। দেশের অধিকাংশ প্রবীণ ব্যক্তিমাত্রই এটি পরিচিত সমস্যা।

এ প্রসঙ্গে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোনোজ্জিদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মেধার পরিধিও কমতে থাকে। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে হয় পুরো বিপরীত। তাই শিশুরা যা দেখে তা সহজেই শিখে ফেলে।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে শিশুদের এগিয়ে থাকার কারণ হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মো: আবু শোয়েব বাংলানিউজকে বলেন, শিশুরা সব কিছুই দ্রুত শিখতে পারে। তারা ভাত খাওয়া যেভাবে শিখে, ঠিক একইভাবে কমপিউটার, ল্যাপটপ বা মুঠোফোনের ব্যবহার শিখছে।

প্রবীণদের শিখতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রবীণরা কমপিউটার বা ল্যাপটপ ভীতির কথা বলেন। তারা মনে করে এটা খুব জটিল বিষয়। এ ভয় পাওয়া থেকে তাদের এ অবস্থা।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।