নানা রঙের রংধনু মাঝে মাঝে আকাশের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। নীল আকাশে হঠাৎ অর্ধবৃত্তাকার সাতটি রঙের সারি আমাদের অবাক করে।
খালি চোখে সূর্যের আলো আমাদের কাছে সাদা মনে হয়। আসলে কিন্তু আলাদা আলাদা সাতটি রং মিশিয়ে সূর্যের আলো। রং সাতটি হলো-বেগুনি, নীল আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। সংক্ষেপে আমরা যাকে বলি ‘বেনিআসাহকলা’।
বিজ্ঞানের ভাষায় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী রংদের এই ছড়িয়ে পড়াকে বলা হয় বর্ণালী। বৃষ্টির পর আকাশে ছোট ছোট পানির কণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। সূর্যের সাতটা রং তখন পানির ওপর পড়ে নিজেদের আলাদা করে ফেলে।
এসব পানি কণাদের কাজ হলো প্রিজম হয়ে যাওয়া। প্রিজম কাচ যেমন সূর্যের আলোর সাতটা রংকে বেছে আলাদা করে দেয়, পানির কণারাও ঠিক তাই করে।
এসময় রংগুলো পানির কণাগুলোর উপর প্রতিবিম্বিত হয়ে ঠিকরে বের হয়ে আসে আলাদা আলাদা রং হয়ে। তখন আমরা দেখি সাতরঙা রংধনু।
কিন্তু রংধনু চোখে পড়ার একটি নিয়ম আছে। রংধনু দেখার সময় সূর্য থাকবে আমাদের পিছনে, আর পানিকণারা চোখের সামনে। তার মানে আমাদের দাঁড়াতে হবে পানিকণা আর সূর্যের মাঝখানে। তবে সবচেয়ে দরকারি হলো বৃষ্টির পর আকাশের গায়ে ঝকঝকে সূর্যের আলো।
এরপর আরও একটু কথা থাকে। সূর্য, আমাদের চোখ আর রংধনুর কেন্দ্রবিন্দুর অবস্থিতি হবে একই সরলরেখায়।
এই হলো আমাদের রংধনু দেখার অভিযান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৩
এএ/এসএসআর[email protected]