ঢাকা: মানচিত্র একটি দেশের সীমানা, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড নির্দেশ করে। একটি দেশ বা ভূখণ্ডের মানচিত্র আঁকার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।
সবচেয়ে প্রাচীন মানচিত্রটি কে এঁকেছিলেন তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণও পাওয়া যায় নি।
তবে ইতিহাস খুঁজে জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো মানচিত্রটি ব্যাবিলনের। এর নাম ইন্ডিগো মুন্ডি। এটি পাওয়া যায় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সালে বা যিশু খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৬০০ বছর আগে।
মজার ব্যাপার হলো, মানচিত্রটি হাতে আঁকা হয়নি। এটি ছিল একটি পোড়া মাটির ফলক। তবে সেটি সবচেয়ে প্রাচীন মানচিত্র হলেও সেটি ছিল শুধুই ব্যাবিলনের মানচিত্র।
প্রথম পৃথিবীর মানচিত্র আঁকার চেষ্টা করেন অ্যানাক্সিম্যান্ডার। তার এ মানচিত্রটিকে আরেকটু উন্নত করেন হেক্টিয়াস অফ মিলেটাস। তিনি এশিয়ার শেষ প্রান্ত ভারতের অবস্থানও দেখিয়েছিলেন। এমনকি মিশরের অবস্থানও ছিল তার মানচিত্রে।
এসব মানচিত্রের অবস্থান ঠিক ছিল একথা জোর দিয়ে বলা যায় না। এরপর বীর আলেকজান্ডারের আমলে তার পুরো সাম্রাজ্যের একটি মানচিত্র আঁকেন এরাতোসথিনেস।
আর মানচিত্র অঙ্কন ইতিহাসের আদিযুগে সবশেষ মানচিত্র আঁকিয়ে ছিলেন টলেমি। টলেমির (১৫০ খি. পূ.) আঁকা মানচিত্র দীর্ঘদিন ভবিষ্যৎ মানচিত্রকরদের অনুপ্রাণিত করেছে।
এছাড়া খেজুর পাতার ওপর আঁকা মানচিত্র পাওয়া গেছে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ থেকে।
গ্রিসেও মানচিত্র রচনার চল ছিল। মিলেটাস দ্বীপের বাসিন্দা দার্শনিক অ্যানাক্সিম্যান্ডার যে মানচিত্র এঁকেছিলেন তাতে পৃথিবীকে গোল দেখানো হয়েছে। চারদিকে সমুদ্র ঘেরা, মাঝে ঈজিয়ান সাগরের তীরে বর্তমানের তিনটি মহাদেশ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু অংশ।
আরও উন্নত মানচিত্র এঁকেছিলেন ইরাটোস্থেনিস (২৭৬-১৯৪ খ্রি. পূ.) যাতে আলেকজান্ডারের অভিযানের কিছু দেশের স্থান ছিল, এশিয়া অপেক্ষাকৃত বড় ও চওড়া। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এখানে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ রেখার উল্লেখ আছে।
তবে এসব মান চিত্রের অনেক দোষ-ত্রুটি ছিল। ক্ষেত্রসীমা বা নানা জায়গা ঘুরে জরিপ করে সঠিক মানচিত্র আঁকার কাজ শুরু হয়েছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের আমলে। রীতিমত প্রশিক্ষণ দিয়ে একদল লোক নিয়োগ করা হয়েছিল, যাদের বলা হত ‘এগ্রিমেন্সোর’।
ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৩
এএ/এমজেডআর