সৃষ্টির রহস্যের পুরোটা মানুষ এখনো জানতে পারেনি। পারবে কীনা তাও জানা নেই।
নিজের সৌন্দর্যে মুগ্ধ করা আর নানাকিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ছাড়াও মানুষকে বিভ্রান্ত করাটাও বোধহয় প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর এই জলের নিচে জলপ্রপাতের ব্যাপারটাও তেমনই।
সত্যি বলতে, জলের নিচে জলপ্রপাত প্রকৃতির খেয়াল বলা উচিত হবে না, বলা উচিত আমাদের বিভ্রান্ত করাটা আসলে প্রকৃতির খেয়াল।
জলের নিচের যে জলপ্রপাতের কথা বলছি, এর অবস্থান মারিটিয়াস দ্বীপে। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত মারিটিয়াস দ্বীপ। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০০০ কিলোমিটার।
মারিটিয়াস দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় রয়েছে আন্ডারওয়াটার ওয়াটারফল বা জলের নিচের জলপ্রপাত। ভূমিতে দাঁড়িয়ে দেখে বোঝা না গেলেও উপর থেকে দেখলে বুঝতে পারবেন এটি বেশ বড়সড় একটা জলপ্রপাত।
জলপ্রপাত থাকতেই পারে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, এটা যেনতেন জলপ্রপাত নয়, সাগরের মাঝে জলপ্রপাত! আর সেটা প্রবাহিত হচ্ছে পানির নিচে!
অসম্ভব মনে হচ্ছে? হতেই পারে।
ঠিক আছে। রহস্যটা ভেদ করে দিচ্ছি। এই জলপ্রপাত আসলে প্রকৃতির খেয়াল। এটি সত্যিকারের কোনো জলপ্রপাত নয়, মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রকৃতির একটা পদ্ধতি মাত্র।
আসলে উপকূলের কাছাকাছি সাগরের এই অংশে বালি এবং অন্যান্য উপাদান এমনভাবে ছড়িয়ে আছে, যে উপর থেকে দেখলে এক ধরনের দৃষ্টিভ্রম বা ইলিউশন হয়। তখন এই বালিকেই মনে হয় পানির নিচে প্রবাহিত হওয়া জলপ্রপাত। আর এটা এতটাই প্রাকৃতিক যে বুঝতে অনেকটা সময় লাগবে এটা কোনো সত্যিকারের জলপ্রপাত নয়। এ বিষয়ে জানেন এমন কেউ না বলে দিলে অনেকেই বুঝতেও পারেন না এগুলো আসলে বালি।
এই দৃষ্টিভ্রমের জন্যই মারিটিয়াস দ্বীপ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্থান। অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন নিজের চোখে জলের নিচে জলপ্রপাত দেখে বিভ্রান্ত হতে।
ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৩
এমএনএনকে/এএ/আরকে