ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

এবছরের নোবেলজয়ীরা

ইমরুল ইউসুফ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩
এবছরের নোবেলজয়ীরা

শেষ হলো আরও একটি বছর। নতুন বছর ২০১৪ সাল দ্বার গোড়ায়।

বিভিন্ন বিষয়ে বছরের সেরাদের দেওয়া হয় সবচেয়ে বড় ও সম্মানজনক নোবেল পুরস্কার।

নোবেল পুরস্কারের মতো এত সম্মানের, এত মোটা অংকের অর্থ পুরস্কার পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। নোবেল মৃত্যুবরণ করার আগে ঘোষণা করেছিলেন, পুরস্কারটি দাতা সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো জাতির মানুষ নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য লাভ করতে পারবে। তার নির্দেশ বা উইল অনুযায়ী ১৯০১ সাল থেকে ৫টি বিষয়ে এবং ১৯৬৮ সাল থেকে আরো একটি বিষয়ে মোট ৬টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো হলো- পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতি।

নোবেল পুরস্কার ২০১৩ প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে তুলে ধরা হলো:

physicsপদার্থবিদ্যা: ‘ঈশ্বর-কণা’র অস্তিত্ব আবিষ্কার করে এবছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দুই বিজ্ঞানি। তারা হলেন- যুক্তরাজ্যের পিটার হিগস ও বেলজিয়ামের ফ্রাঁসোয়া ইংলার্ট। অতিপরমাণু কণার ভরের উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা আগেই ‘হিগস-বোসন’ কণার অস্তিত্বের ধারণা দিয়েছিলেন। এ কণাই পরে ঈশ্বর কণা নামে পরিচিতি পায়। অবশ্য যে বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন, তাদের ঝুলিতে যায়নি পদার্থবিজ্ঞানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই পুরস্কার। পুরস্কার পেয়েছেন তারাই যারা এই কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে তত্ত্ব দিয়েছিলেন। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস তাদের নাম ঘোষণা করে অ্যাকাডেমির সেক্রেটারি স্তেফান নরমার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, এবছরের পুরস্কার অতিক্ষুদ্র এক কণাকে নিয়ে, যা এই বিশ্বের সব পরিবর্তনের মূলে। অর্থাৎ আমাদের এই পৃথিবী কীভাবে নির্মিত, তা বর্ণনা করে এই মডেল।

১৯৬০ সালে অতিপারমাণবিক কণার (সাব অ্যাটোমিক পার্টিকল) ভরের উৎস খুঁজতে গিয়ে ফ্রাঁসোয়া ইংলার্ট ও যুক্তরাজ্যের পিটার হিগসসহ একদল কণাতত্ত্ববিদ একটি মডেল প্রস্তাব করেন। যে মডেলের মাধ্যমে পরমাণুর কিছু প্রাথমিক কণার ভরের উৎস ব্যাখ্যা করা হয়। ওই মডেলে মূলত একটি অনুপস্থিত কণার কথা বলা হয়, যার নাম দেওয়া হয় হিগস-বোসন। ওই মডেলে একটি কণার কথা বলা হয়, যার নাম রাখা হয় পিটার হিগস ও বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে। তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার এই মত অনুযায়ী মহাবিশ্বের সবকিছুই ‘ভর’ পেয়েছে এই হিগস-বোসন কণার মাধ্যমে। এ কারণে এই কণার নাম হয়ে যায় ঈশ্বর কণা। তাদের বয়স এখন আশির কোঠায়। হিগস স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা এবং ইংলার্ট ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলসে অধ্যাপনা করেন।

chemistরসায়নশাস্ত্র: রসায়নে এবারের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী। ‘রাসায়নিক গবেষণাকে সাইবারস্পেসে নিয়ে যাওয়ার’ স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। কীর্তিমান এ তিন গবেষক হলেন, মার্টিন কারপ্লাস, মাইকেল লেভিট ও আরিয়ে ওয়ারশেল। রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রতিফলন দেখতে কম্পিউটার মডেল ব্যবহারের পথিকৃৎ এ তিন বিজ্ঞানী। ১৯৭০-এর দশকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার পূর্বাভাস দিতে কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরি করেন তারা। এর মাধ্যমে এই গবেষকেরা নতুন ধরনের ওষুধপত্র তৈরির জটিল প্রক্রিয়া সমাধানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বলে মূল্যায়নে বলেছে সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

একাডেমি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয় বিদ্যুৎ গতিতে। ইলেকট্রন কণাগুলো পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের মধ্যে এমনভাবে লাফঝাঁপ করে, যা বিজ্ঞানীদের উৎসুক চোখেরও অগোচরে থেকে যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নোবেলজয়ীরা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে রসায়নের রহস্যময় পথগুলোর মানচিত্র আঁকার কাজটি সম্ভব করেছেন। আজকে টেস্টটিউবের মতোই কম্পিউটারও একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। ’

ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিক লেভিট যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের গবেষক। মার্কিন-অস্ট্রীয় নাগরিক কারপ্লাস গবেষণা করেন ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক ওয়ারশেল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক। পুরস্কার পাওয়ার পর ওয়ারশেল প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নোবেল কমিটি যখন আমাকে ফোন করে পুরস্কার প্রাপ্তির খবর জানায় লস অ্যাঞ্জেলেসে তখন মধ্যরাত। ঘুম নষ্ট হলেও এ খবরে আমি দারুণ খুশি।

medicineচিকিৎসাবিজ্ঞান:  মানবকোষে ইনসুলিন তৈরি হওয়ার পর কীভাবে তা রক্তে মেশে, এক স্নায়ুকোষ থেকে কী করে রাসায়নিক সংকেত যায় অন্য কোষে- সেই রহস্যের মীমাংসা করে এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসাবিজ্ঞানে চলতি বছরের এই তিন নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। এরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের জেমস ই রথম্যান ও ডব্লিউ শেকমান এবং জার্মানির টমাস সুডহফ। তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি ফর ফিজিওলজি অর মিডিসিনের সেক্রেটারি গোয়েরন হ্যানসন জানান,  ওই তিন বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন কোষ থেকে কোষে রাসায়নিক অণুর পরিবহন কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। ওই পরিবহনব্যবস্থায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যাহত হয়। এতে স্নায়বিক সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। এসব রোগের চিকিৎসায় নতুন আলো দেখাবে তিন গবেষকের ওই আবিষ্কার।

গবেষক শেকম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিক্যুলার ও সেল বায়োলজির অধ্যাপক। কোষ পরিবহনের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় যেসব জিনের মাধ্যমে, তা শনাক্ত করেছেন তিনি। আর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল বায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেমস রথম্যান সন্ধান পেয়েছেন একটি প্রোটিন যৌগের। এই প্রোটিনের কাজ ভেসিকল বা রাসায়নিক অণুর প্যাকেজ স্থানান্তরে সহায়তা করে। শেকম্যান ও রথম্যানের উদ্ভাবনের পরবর্তী ধাপটি সম্পন্ন করেছেন জার্মানির নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস সুডহফ। আর এর স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের তিনজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

literatureসাহিত্য: ‘সমসাময়িক ছোটগল্পের দিকপাল’ খ্যাত কানাডীয় লেখক অ্যালিস মানরো এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সুইডিশ নোবেল একাডেমি মানরোকে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব পিটার ইংলুড এ পুরস্কারের ঘোষণার সময় মুররোকে সমসাময়িক ছোটগল্পের ‘অনবদ্য শিল্পী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

অ্যালিস মানরো ১১০তম লেখক হিসেবে সাহিত্যের ক্ষেত্রে এ স্বীকৃতি পেয়েছেন। আর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারীদের মধ্যে তিনি ১৩তম। ‘ডিয়ার লাইফ’ ও ‘ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস’ মানরোর বহুল আলোচিত ছোটগল্প।

৮২ বছর বয়সী এ ছোটগল্পকার কিশোর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৫০ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প ‘দ্য ডাইমেনশনস অব এ শ্যাডো’ প্রকাশিত হয়। তিনি সে সময় ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ১৯৬৮ সালে তাঁর প্রকাশিত বই ‘ড্যান্স অব হ্যাপি শেডস’ কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার গভর্নর জেনারেল পান। শুধু তাই নয়। ২০০৯ সালে সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার পুরস্কারও লাভ করেন। মানরো তাঁর লেখায় মানবীয় চেতনা ও ছোট শহরগুলোতে মেয়েদের বেড়ে ওঠার পেছনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ফুটিয়ে তোলেন। পুরস্কার পাওয়ার পর মানরো তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি জানতাম আমি পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় আছি। তবে হ্যাঁ, আমি কখনোই চিন্তা করিনি যে আামই জিতব।

peachশান্তি: কিছুদিন আগে সিরিয়ায় হামলা নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত ছিল। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জনসাধারণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা করেছেন অজুহাতে দেশটিতে হামলা করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া মার্কিন আগ্রাসনের সরাসরি বিরোধিতা করে। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের শর্তে কোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়নি সিরিয়ায়। আর এ অস্ত্র ধ্বংসের মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজটি করেছিল নেদারল্যান্ডভিত্তিক রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস (ওপিসিডব্লিউ)। ফলে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটি প্রধানত কাজ করে সিরিয়ায়। ১৯৯৭ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগে ওপিসিডব্লিউ প্রতিষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের সাহসী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই সারা বছর আলোচনায় ছিলেন এ ক্যাটাগরিতে নোবেল পেতে পারেন বলে। মনোনয়নও পান তিনি। দবে নোবেল না পেলেও অনেকগুলো পুরস্কার এবার গেছে তার ঝুলিতে।

economicmঅর্থনীতি: ‘সম্পত্তির মূল্যের প্রায়োগিক বিশ্লেষণ’ নিয়ে গবেষণার জন্য অর্থনীতিতে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন, ইউজিন এফ ফামা, লার্স পিটার হ্যান্সেন ও রবার্ট জে শিলার। অর্থনীতিবিজ্ঞানের এ পুরস্কারটি আসলে নোবেল পুরস্কার নয়। তবে এটিকে অর্থশাস্ত্রের নোবেল বলে গণ্য করা হয়। নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তিন অধ্যাপক পূর্বাভাস মডেল নিয়ে যে কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতেই পুঁজিবাজারের আচরণ সম্পর্কে আমাদের আজকের ধারণা তৈরি হয়েছে। এক সপ্তাহ পর কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম কত হবে তা বলা মুশকিল হলেও দীর্ঘ মেয়াদে পুঁজিবাজার সম্পর্কে ‘নির্ভরযোগ্য’ পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। আর এ বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই তিন অধ্যাপক দেওয়া হয়েছে  অর্থনীতিতে এবারের নোবেল পুরস্কার।

১৯৩৯ সালে বস্টনে জন্ম নেওয়া ইউজিন ফামা অধ্যাপনা করছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৪৬ সালে ডেট্রোয়েটে জন্ম নেওয়া শিলার অধ্যাপনা করছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর ১৯৫২ সালে জন্ম নেওয়া পিটার হ্যানসেনও বর্তমানে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন।

সুপ্রসিদ্ধ রসায়ন বিজ্ঞনী, সমাজ বিজ্ঞানী, বহু-ভাষাবিদ, ব্যবসায়ী, কবি ও চিরকুমার স্যার আলফ্রেড বার্নাড নোবেল (১৮৩৩-১৮৯৬) প্রবর্তন করেন নোবেল পুরস্কার। ডিনামাইটের আবিষ্কারক এবং জনক হিসেবে নোবেলকে বলা হয় ‘লর্ড ডিনামাইট’।

বিজ্ঞান ছিল নোবেলের সবচেয়ে প্রিয় বিষয়। তিনি মনে করতেন একমাত্র বিজ্ঞানই পারে মানুষকে সংস্কারমুক্ত, বাস্তবসম্মত উন্নত জীবনের সন্ধান দিতে। এই আত্মবিশ্বাস থেকেই নোবেল বিশ্ববাসীর কল্যাণে ১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর এক উইলের মাধ্যমে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মানুষের উন্নয়নকর্মের স্বীকৃতির জন্য দান করে যান। নোবেলের উইল অনুসারে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়ে আসছে। পুরস্কারদাতার নাম অনুসারেই নাম হয়েছে ‘নোবেল পুরস্কার’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।