আবুল বরকতকে আমরা ভাষাশহীদ নামেই চিনি। বাহান্ন’র ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ তিনি।
১৯২৭ সালের ১৬ জুন ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবুল বরকত। বাবা শামসুদ্দিন ও মা হাসিনা বেগম।
শিক্ষাজীবনে তালিবপুর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় চলে আসেন বরকত। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ অনার্স পাস করে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা যখন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে মিছিল করে, তখন তাদের উপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। তারই একটি গুলি লাগে হোস্টেলের শেডের বারান্দায় দাঁড়ানো বরকতের গায়ে। তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। সে রাতেই আজিমপুর কবরস্থানে তার মৃতদেহ দাফন করা হয়।
বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন আবুল বরকত। বাঙালি জাতি তাকে কখনোই ভুলবে না।
বইমেলা ও ভাষার মাস নিয়ে ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪
.jpg)
