ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

কোথায় গেল বিশ্বের পুরনো সপ্তাশ্চর্য?

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৪
কোথায় গেল বিশ্বের পুরনো সপ্তাশ্চর্য? ছবি: সংগৃহীত

ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের নাম সবাই শুনেছো। আর পিরামিডের কথা তো জানোই।

যেটা এখনো পৃথিবীর আশ্চর্য হিসেবে টিকে আছে। এছাড়া বিশ্বে আরও পাঁচটি আশ্চর্য বস্তু ছিল। সেগুলো হলো- এফিসাসে আর্টেমিসের মন্দির, এথেন্সে জিউসের মূর্তি, হ্যালকারনেসাসের সমাধি মন্দির, রোডসে কলোসাসের মূর্তি ও আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর। একসময় পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য হিসেবে মানুষ জানতো এই সাত স্থাপত্য নির্মাণকলাকে।

কিন্তু সে তো অনেক আগের কথা। বর্তমানে কি অবস্থায় আছে এগুলো? আদৌ কি টিকে আছে পৃথিবীতে? চলো তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ইতিহাস বইতে নিশ্চয় এখনো পড়ো ব্যাবিলনের সভ্যতার কথা। জানো সেখানে ছিল আশ্চর্য এক ঝুলন্ত বাগান। বর্তমান ইরাকের ইউফ্রেতিস নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান। কিন্তু এখন আর এ সুদৃশ্য বাগানের অস্তিত্ব নেই। ৫১৪ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের আক্রমণে এই উদ্যান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।



বলতে গেলে প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র টিকে আছে মিশরের পিরামিড। তাই বলে পিরামিডের বয়সও কিন্তু কম নয়! মিশরের মরু অঞ্চলে দেব-দেবতাদের সমাধি পিরামিড তৈরি হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার বছর আগে।



বর্তমান তুরস্কের এফিসাস শহরে ছিল চাঁদের দেবী আর্টেমিস বা ডায়ানার মন্দির। আআর্টেমিসের এই মন্দির তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০ অব্দে। কিন্তু ২৬২ খ্রিস্টাব্দে অন্য দেশের শত্রুর আক্রমণে মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যায়।



ইউরোপের দেশ গ্রিসের অলিম্পিয়া শহরে ছিল দেবতা জিউসের মূর্তি। সেসময়ের বিখ্যাত ভাস্কর ফিদিয়স গড়েছিলেন এই মূর্তি। পরবর্তীতে খিস্টধর্মের উদ্ভবের ফলে ধর্ম প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে এই মূর্তি নষ্ট করা হয়।



বর্তমান তুরস্কের কারিয়া রাজ্যের সেসময়ের রাজা ছিলেন মৌসলম। তার জন্য হ্যালিকারনেসাসে তৈরি করা হয় বিশাল এক সমাধি মন্দির। ম্যাসিডোনিয়ার দিগ্বিজয়ী সম্রাট আলেকজান্ডার এই সমাধি ধ্বংস করেন। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে একজন ইংরেজ পর্যটক এই মন্দিরে রক্ষিত রাজা ও রানীর মূর্তি সংগ্রহ করে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করেন।



তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিম ভূমধ্যসাগরে ডেডেকানিজ দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম একটি দ্বীপ রোডস। কিংবদন্তি আছে বন্দরের প্রবেশপথের মুখে গ্রিক দেবতা হেলিয়াসের বিশাল এক মূর্তি ছিল। তবে ভূমিকম্পে মূর্তিটি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে যায়।



মিশরের নীলনদের মোহনায় ভূমধ্যসাগরের উপকূলে ফোয়ারোস উপদ্বীপ। এখানেই ছিল বিক্যাত বাতিঘর। টলেমি এটি নির্মাণ করেন ২৮০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের দিকে। দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এটি টিকে থাকার কথা জানা যায়।

ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।