ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

নতুন বই

ভূতের ছেলে ভূতং

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৪
ভূতের ছেলে ভূতং

আচ্ছা বলতো ভূত দেখতে কেমন? কিংবা ভূতের কী কী নাম হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে তোমরা নিশ্চয় বলবে- এটা কোনো প্রশ্ন হলো? ভূত আবার দেখতে কেমন। ভূত দেখতে দুটো তালগাছের সমান লম্বা।

থ্যাবড়া নাক। কোটরে ঢুকানো ড্যাবড্যাবা দুটো চোখ। ফোকলা দাঁত। এই তো। আর ভূতের নাম! সে কি আর বলে শেষ করা যাবে?

গড় গড় করে বলে দেবে এই যেমন- মামদো ভূত, ঝেরুভূত, গেছোভূত, মেছোভূত, শ্যাওড়াভূত আরো কতো কী! এর সঙ্গে আমি যদি আরো কয়েকটি ভূতের নাম যোগ করি এবং তাদের নিয়ে ছড়া বলি তাহলে কেমন হবে? নিশ্চয় অনেক মজা হবে তাই না বন্ধুরা।

এই যেমন- ‘তালপুকুরে বাস করে এক/ডিসকো ভূতের ছাও/মুরগি চিবায় চাকুমচুকুম/দেখতে তারে চাও/রাতদুপুরে তালের গাছে/ধুম্মাচালে ডিসকো নাচে/দেখতে হলে এক্ষুনি যাও/হিজলতলীর গাঁও। ’

 কিংবা যদি বলি, ‘বোকা ভূত বাস করে/উঁচু তাল গাছে/ইলিশের ঘ্রাণ পেলে/ধেই ধেই নাচে/মানুষের ঘাড়ে চাপে/আগুনের ভয়ে কাঁপে/যেয়ো নাকো খোকা-খুকু/ওর ধার কাছে। ’

ওই বোকা ভূতটার ধারের কাছে নাই বা গেলাম। কিন্তু প্রয়োজনে বাইরে তো বের হতেই হয়। হোক না সে দিন অথবা রাত। একদিন রাতে আমি রাস্তায় হাঁটছি। এমন সময় দেখি ‘আমার সাথে গুটিগুটি/হাঁটছিল এক ভূত/হাত-পাগুলো চিকন-চাকন/চোখ দুটো কুতকুত/জমকালো সব পোশাক পরা/ধরতে গেলে যায় না ধরা/আয়নাতে তার মুখটা দেখে/করতো সে খুঁতখুঁত। ’

ভূতের মতো আমারও খুঁতখুঁতানির অভ্যাস আছে। বিশেষ করে রাতের বেলা ইলিশ মাছ কেনার ব্যাপারে। আমি সাধারণত রাতে ইলিশ মাছ কিনি না। কারণটা বলতে গিয়ে একটি গল্প মনে পড়ে গেল। এই সুযোগে তোমাদের সে গল্পটাই শুনিয়ে দিই। তবে ছড়ায় ছড়ায়।

‘সেদিন রাতে ইলশে হাতে/ফিরছি ঘরে একা/কাকের মতো এতই আঁধার/যায় না কিছুই দেখা/হঠাৎ যেন শুনতে পেলাম/যাচ্ছে কে রে দাঁড়া/ভয়ে আমার কম্ম কাবার/হলাম তবু খাড়া/ভূতের পোলা বললো এসে/ইলশে দুটো দিয়ে/এক্ষুনি ভাগ আমার হাতের/ব্যাগ দুটো তুই নিয়ে/পড়ি মরি প্রাণ বাঁচাতে/পালিয়ে এলাম ঘরে/ঘুমটা আমার ভাঙলো সেদিন/সূর্য ওঠার পরে। ’

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয় ভূতের ছড়াগুলো পড়তে পড়তে চলে গিয়েছিলে ভূতের রাজ্যে। তাই না? আর এ প্রশ্নও হয়তো মনে উঁকি দিয়েছে এতগুলো ভূতের ছড়া কোন বইতে আছে। যে বইটি হাতে পেলে ছড়াগুলো পড়া যেত। তাহলে শোনো- বইটির নাম ‘ভূতের ছেলে ভূতং’।

তোমাদের জন্য ছড়ার এই বইটি লিখেছেন ছোটো বড়ো সবার প্রিয় ছড়াকার বন্ধু সরদার আবুল হাসান। ১৬টি ভূতের ছড়া দিয়ে সাজানো এই বইটির চাররঙা প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন আঁকিয়ে বন্ধু সোহাগ পারভেজ।

বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার তোপখানা রোডের ‘শিশুপ্রকাশ’ প্রকাশনী। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪-এ প্রকাশিত ক্রাউন সাইজের ১৬ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।