গ্রামের ছোট এক মেয়ে। বাবা-মা, ভাই, ছোট বোন আর পোষা টিয়ে পাখিকে নিয়ে সুখের পরিবার।
বলছিলাম মীনার কথা। ছোটদের বন্ধু তো বটেই, বড়দেরও প্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনা। মীনা কার্টুন কম-বেশি আমরা সবাই দেখেছি। শিক্ষামূলক কার্টুন মীনা। মীনার কাছ থেকে শিক্ষার গুরুত্ব, সুস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা তথ্যসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। আর এই সবটাই হয় বিনোদনের মধ্য দিয়ে। সেজন্যই সবার কাছে মীনা খুব প্রিয় একটি চরিত্র, যেন কাছের এক বন্ধু।
ইউনিসেফ ও টুনবাংলার হাত ধরে মীনার জন্ম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মেয়েরা সবসময়েই বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নারীশিক্ষার হারও ছিল খুব কম। ৯০ দশককে সার্ক ‘মেয়েশিশু দশক’ হিসেবে ঘোষণা করে। সেসময় মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় তৈরি হয় মীনা।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে মীনায়। ১৯৯৮ সালে ইউনিসেফ ‘মীনা কনিউনিকেশন ইনিশিয়েটিভ’ শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে মীনা কার্টুনের অনেকগুলো পর্ব তৈরি করা হয়েছে। মীনার প্রতিটি পর্বই শিক্ষামূলক। মূলত শিশুদের জন্য মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক বৈষম্যসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মীনার জন্ম।
মীনার পরিবার, পরিবেশ ও সমাজ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংস্কৃতির একটি মিশ্র রূপ। বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে মীনার কার্টুন ও কমিক বই। দক্ষিণ এশিয়ার শিশুদের কাছে মীনা অত্যন্ত জনপ্রিয় এক চরিত্র।
আমাদের সবার প্রিয় মীনার সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি। মীনার নামে যে একটা দিবস আছে, এটা হয়তো অনেকেই জানো না। প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস পালিত হয়।
আজ মীনা দিবস। মীনা আমাদের সবার প্রিয় বন্ধু। মীনা যুগ যুগ বেঁচে থাকুক সবার মনে, সবাইকে সচেতন করুক সমাজের সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে। মীনার মাধ্যমে সচেতন হয়ে আমরা সবাই একদিন গড়ে তুলব বৈষম্যহীন সুন্দর এক সমাজ- এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪