ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

তুষার বাড়ি ইগলু

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৪
তুষার বাড়ি ইগলু

ইগলু শব্দটার সঙ্গে আমাদের সবারই পরিচয় রয়েছে। তবে ইগলু শুনে আইসক্রিমের কথা ভাবার কোনো কারণ নেই।

আমি যে ইগলুর কথা বলছি, সেটা কিন্তু মোটেও আইসক্রিম নয়। বলছি, তুষারের বাড়ির কথা। এ ধরনের বাড়িগুলোকে বলা হয় ‘ইগলু’।

শীতপ্রধান দেশগুলোতে ইগলু দেখা যায়। এটি মূলত ইনুইট নামে পরিচিত এস্কিমোদের তৈরি। তাদের ভাষায় ইগলু মানে কিন্তু শুধু বরফের বাড়ি নয়। তারা যেকোনো ধরনের বাসস্থানকে ইগলু নামে ডাকে। সেটা হতে পারে তাঁবু, তুষারের ঘর কিংবা শহুরে দালান। তবে সাধারণ মানুষ ইগলু বলতে তুষারের ঘরকেই বোঝে।
 
শীতপ্রধান অঞ্চলগুলোতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। সেসব জায়গায় তুলনামূলকভাবে উষ্ণ বাসস্থান তৈরি করার জন্য তুষার ব্যবহার করা হয়। তুষারের তৈরি এ ঘরগুলোর ভেতরের তাপমাত্রা বাইরের চেয়ে বেশি থাকে।

ইগলু তিন ধরনের হয়। সবচেয়ে ছোট যে ইগলু বাড়ি, সেগুলো সাধারণত অস্থায়ী হয়। একদিন বা দু’দিনের জন্য কোথাও থাকার ক্ষেত্রে এগুলো তৈরি করা হয়। মাঝারি সাইজের ইগলু তৈরি করা হয় একটি পরিবারের বসবাসের উপযোগী করে। এ ধরনের কয়েকটি ইগলু মিলে ইনুইটদের একেকটি গ্রাম গঠন করে। আর সবচেয়ে বড় ইগলুগুলোতে পাঁচটা পর্যন্ত ঘর থাকতে পারে। এগুলো একাধিক ছোট ইগলু মিলে তৈরি করা হয়, সেগুলোকে যুক্ত করা হয় আবার টানেল দিয়ে।

সঠিকভাবে তৈরি করা হলে তুষারের তৈরি এ ঘরগুলোর ছাদে একজন মানুষ অনায়াসে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, এতে ইগলুর কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
 
কানাডা বা সাইবেরিয়ার মতো শীতপ্রধান দেশে গেলে দেখতে পাবে চমৎকার এ তুষার বাড়ি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।