ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শ্রদ্ধাঞ্জলি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি তিনি।

বিদ্রোহী কবি হিসেবেই পরিচিতি তার বেশি।

১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার বাবার নাম কাজী ফকির আহমদ, মা জায়েদা খাতুন।

অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারান নজরুল। এরপর শুরু হয় তার কষ্টের জীবন। ছোটবেলা দুঃখে-কষ্টে কেটেছে বলে সে সময়ে তার ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া।

গ্রামের মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে নজরুল যোগ দিয়েছিলেন লেটো গানের দলে। কিছুদিন ছিলেন মক্তবের শিক্ষক। আসানসোলে রুটির দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। এরপর সেখান থেকে এক বাঙালি পুলিশ অফিসার তাকে ময়মনসিংহে এনে স্কুলে ভর্তি করেন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেন নজরুল।

যুদ্ধ শেষে কলকাতায় ফিরে এসে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন তিনি। ‘ধূমকেতু’, ‘নবযুগ’ ও ‘লাঙল’ পত্রিকার সম্পাদনাও করেছেন নজরুল।

কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী। ’ এই কবিতাটি তাকে ব্যাপক খ্যাতি এনে দিয়েছিল। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ নামক একটি কবিতা লিখে ব্রিটিশ শাসকদের ব্যঙ্গ করেছিলেন তিনি। সেজন্য তাকে কারাভোগ করতে হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় কবি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বাকশক্তি হারান।

কাজী নজরুল ইসলাম অন্যসব লেখার পাশাপাশি ছোটদের জন্যও অনেক লিখেছেন। ছোটদের জন্য তার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ঝিঙেফুল, ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি, ঘুমজাগানো পাখি, সঞ্চয়ন। শিশুদের জন্য তার লেখা নাটক- পুতুলের বিয়ে।

 ১২ ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে কবর দেওয়া হয়।

আজ নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে বিদ্রোহী কবির প্রতি রইল আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।