ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলা’

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে এ মাসেই বাঙালি অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত বিজয়, লাল-সবুজ পতাকা।

মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মরণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে ভাস্কর্য। এসব ভাস্কর্য বহন করে স্বাধীনতা যুদ্ধের নানা স্মৃতি।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই দেখে থাকবে এসব ভাস্কর্য। অনেক ভাস্কর্য নির্মাণের পেছনে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের একেকটি বাস্তব প্রেক্ষাপট।

এমনই একটি ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলা।

অপরাজেয় বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা। ১৯৭৩ সালে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে নির্মাণ শুরু হওয়া ভাস্কর্যটি স্থাপত্যশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ছয় বছর পর ১৯৭৯ সালে ভাস্কর্যটির কাজ শেষ হয়।



বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে শত্রুর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এদেশের বিভিন্ন শ্রেণীর নারী-পুরুষ। অ‍ার এই সর্বশ্রেণীর মানুষের যুদ্ধের বিষয়টি উঠে এসেছে অপাজেয় বাংলা ভাস্কর্যে।

ভাস্কর্যে তিনটি অবয়ব রয়েছে। তিনটি অবয়বের একটির ডান হাতে রাইফেলের বেল্ট। এ অবয়বের মডেল ছিলেন চারুকলা অনুষদের কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম বেনু। থ্রি নট থ্রি রাইফেল হাতে অবয়বের মডেল ছিলেন সৈয়দ হামিদ মকসুদ ফজলে। সঙ্গে নারী প্রতিকৃতির মডেল ছিলেন হাসিনা আহমেদ।

 ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় অপরাজেয় বাংলার উদ্বোধন করা হয়।

 বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
এসএমএন/এএ

**  অকুতোভয় সংশপ্তক
** চেতনার বিজয় ‘৭১’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।