ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২১) রহস্য দ্বীপ

ঘুমাবার জন্য সবচেয়ে সেরা জায়গা কোনটা হতে পারে বলে ভাবছ? ছোট্ট খাড়িটার চারপাশটা দেখে নিয়ে পেগি বলে। ঠিক আছে, জ্যাক বলে। আমার মনে হচ্ছে ঘন কোনো গাছের নিচে ঘুমাবার জন্য সেরা জায়গা। তাহলে আজ রাতে বৃষ্টি হলেও আমরা খুব একটা ভিজবো না। তবে মনে হচ্ছে না বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া পুরোপুরি শান্ত।

৪. দ্বীপে প্রথম রাত
খাড়ি পেরোলেই ওখানে বড় দু’টি চমৎকার ওক গাছ আছে। মাইক দেখিয়ে বলে।

ওখানে কি আমরা একটা জায়গা খুঁজে পাবো না?
হ্যাঁ, জ্যাক বলে। বাতাস ঠেকাবার জন্য একটা কাঁটা বা গুল্মের ঝোপ খুঁজে বের করো। যাও, যা বলেছি খুঁজে দেখো।

ওরা সবাই বড় দু’টি ওক গাছের কাছে যায়। জায়গায় জায়গায় ওদের শাখা প্রায় মাটিতে এসে ঠেকেছে। তার নিচে নরম গুল্মের ঝাড় মাদুরের মতো বিছিয়ে রয়েছে। উত্তরে কাঁটাওয়ালা বিশাল একটা গুল্মের ঘন ঝোপ।

এটাকে ঘুমাবার চমৎকার একটা জায়গা বলে মনে হচ্ছে, জ্যাক বলে। দেখো। দেখতে পাচ্ছ ছোট্ট এ জায়গাটা পুরোপুরি গুল্মে ঘেরা এবং গুল্ম বিছানো? মেয়েরা এখানে ঘুমাতে পারবে। আমরা ওদের পাহারা দিতে এর বাইরে ঘুমাবো। মাথার ওপর ওক গাছ দু’টি চমৎকারভাবে আমাদের ছাউনির কাজ করবে।

ওহ্, আমার মনে হচ্ছে এটা খুবই চমৎকার; আমি এখানে ঘুমাবো, এখানে! সেটাকে বিশ্বের সবচেয়ে চমৎকার সবুজ গুল্ম শোভিত শোবার ঘর ভেবে নিয়ে নোরা চেঁচিয়ে ওঠে। সে গুল্মের ওপর শুয়ে পড়ে। এটা খুব নরম! আর ওহ্! কিছু একটা থেকে সুঘ্রাণ ভেসে আসছে। এটা কী?

রহস্য দ্বীপএটা একটা বুনো সুগন্ধি পাতা, জ্যাক বলে। দেখো, গুল্মের মাঝামাঝি সামান্য ক’টা রয়েছে। ঘুমাতে যাওয়ার সময় তুমি ওটা শুকতে পারবে, নোরা!
জ্যাক কয়েক ঘণ্টা শুয়ে থাকার পর গুল্মগুলোকে আর নরম বলে মনে হবে না, মাইক বলে। ভালো হয় আমরা মুঠো ভরে ফার্নও নিয়ে আসি, তাই না?
ঠিক বলেছ, জ্যাক বলে। পাহাড়ে চলো। ওখানে প্রচুর ফার্ন আছে। এবং গাদা গাদা অন্য গুল্মও মিলবে। আমরা ফার্ন তুলে এনে রোদে শুকাবো। গুল্ম শুকাবার দরকার হবে না। প্রচুর পরিমাণে তুলে আনতে হবে, কেননা যত বেশি নরম জায়গায় ঘুমাতে পারবো ততই ভালো ঘুম হবে! তারা ভরা রাত আর লতাপাতার বিছানা!

চারটে শিশু মুঠো মুঠো ফার্ন জড়ো করে এবং রোদে শুকাতে দেয়। ফার্নগুলো ওরা পরে ওক গাছের নিচে তাদের সবুজ শোবার ঘরে নিয়ে আসে। সেখানে ঘন করে বিছিয়ে দেয়। খুব নরম দেখায়! ঘন গুল্মের আচ্ছাদন বাতাস ঠেকাবার কাজ করে। মাথার ওপরকার ওকের দোল খাওয়া ডালপালায় ফিসফিস একটা শব্দ হয়। সব কিছু মিলে কেমন মায়াবী একটা পরিবেশ!

এবার আমাদের শোবারঘর তৈরি, জ্যাক বলে। এবার, আমাদের জিনিসপত্র রাখার একটা জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। জল থেকে আমরা খুব বেশি দূরে থাকবো না, কারণ গোসল আর বাসন-কোসন ধুতে সেটা খুব কাজে আসবে।

চলবে...

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।