ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২২) রহস্য দ্বীপ

আমরা কি রাতের খাবার খাবো? মাইক জানতে চায়। সবাই এককাপ কোকা আর এক টুকরো কেক, জ্যাক বলে। যা কিছু সঙ্গে এনেছি তার সবটাই যাতে এখনই খেয়ে না ফেলা হয় সে ব্যপারে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, তা না হলে আমদের টান পড়তে পারে! কাল আমি মাছ ধরবো।

[পূর্ব প্রকাশের পর]
কালই কি আমরা বাড়ি বানাতে শুরু করব? মাইক জিজ্ঞেস করে, জ্যাক কীভাবে বাড়ি বানায় সে তা দেখার অপেক্ষায় আছে।
হুম, জ্যাক বলে।

এখন তোমরা মেয়েরা আবারও মগগুলো ধোবে এবং মাইক আর আমি জিনিস-পত্র মজুদের জন্য সুন্দর একটা জায়গা খুঁজে বের করবো।
মেয়েরা জলের কিনারায় গিয়ে জিনিসগুলো ধুতে শুরু করে। ছেলে দু’জন বেলাভূমির ওপর ঘুরে বেড়ায় এবং বালুময় খাড়িতে ফিরে আসার পর তারা যেমন জায়গার সন্ধানে ছিল তেমনটি খুঁজে পায়!
ওখানে বালুময় সৈকতের ওপর পুরাতন কয়েকটা উইলো জন্মেছে, ওদের ডালপালা হেলে পড়েছে। বৃষ্টিতে গোড়ার বেলেমাটি সরে গেছে এবং ওর নিচে অগভীর একটা গুহা আছে, ভেতরে এদিক সেদিক মাঝে-মধ্যেই শেকড়-বাকড় ছড়ানো ছিঁটানো।
ওটা দেখো! আনন্দে, জ্যাক বলে। আমাদের জিনিসগুলো রাখার জন্য যেমনটা খুঁজছিলাম ঠিক তেমন! নোরা, পেগি এখানে এসো দেখে যাও!
মেয়েরা ছুটে আসে। ওহ্, খুশি হয়ে, পেগি বলে। বড় ওই শেকড়গুলোকে আমরা তাক হিসেবে কাজে লাগাতে পারবো এবং টিন, কাপ, আর বাসন রাখতে পারবো! ওহ্, মানানসই ছোট্ট একটা ভাঁড়ার!
ঠিক, তোমরা মেয়েরা খাড়ি থেকে জিনিসগুলে এনে এখানে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখবে, জ্যাক বলে। মাইক আর আমি ঝরনা থেকে কেটলি ভরে আনছি, ধারে কাছে আর কোনো ঝরনা আছে কিনা সেটাও খুঁজে দেখতে হবে, কারণ পাহাড়ের ওপর ওঠা তারপর ওপাশে নামা অনেক দূরের পথ।
আমরা কি তোমাদের সঙ্গে আসব? পেগি জিজ্ঞেস করে।
না, তোমরা সবকিছু গোছগাছ করবে, জ্যাক বলে। যতটা সম্ভব সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে, কারণ তুমি জানো না কখন বৃষ্টি নামবে। আমরা চাই না আমাদের জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হোক।
পেগি আর নোরাকে শেকড়ের ভাঁড়ারে টিন, বাক্সসহ সবকিছু গোছগাছ করতে দিয়ে, ছেলে দু’টা খাড়িটাকে পেছনে ফেলে পাহাড়ে ওঠে। ওরা একটা ঝরনার সন্ধানে আলাদা হয়ে যায়। মাইক একটা ঝরনার খোঁজ পায়!
ক্ষুদে একটা শিলার ভেতর থেকে খুব সরু একটা জলধারা বেরিয়ে ঝরনার মতো পাহাড়ের ওপর থেকে পড়ে, এখানে সেখানে ঘাস আর লতা-পাতার আড়ালে হারিয়ে গেছে। চলার পথে ওর বেপরোয়া গতি মাঝে মধ্যেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
চলবে....
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।