ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩১) রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩১)

মাইক, পেগি, আর নোরা অবাক হয়ে চেয়ে থাকে। কী আজব একটা ছেলে রে বাবা! কোথা থেকে ওরা গরু আর মুরগি পাবে?
তাড়াতাড়ি রাতের খাবার তৈরি করো, মেয়েরা, ওদের অবাক মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে জ্যাক একগাল হেসে বলে। আমার খুব ক্ষুধা লেগেছে। কালকের কথা ভাবতে হবে। এখন খাবার খাবো এবং এরপর চুপচাপ পড়বো, তারপর আগেভাগে শুতে যাবো। কালকে আমাদের বাড়ি বানাতে যেতে হবে।

এর পরপরই ওরা রুটি আর মার্জারিন চিবাতে শুরু করে এবং লেটুস খায়। পরেরবারের জন্য কসিমিস তুলে রাখে।

এরপর ওরা দিনের আলোর বাকিটা সময় নরম গুল্মের ওপর হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে-বসে বই আর পত্র-পত্রিকা পড়ে। তারপর আবারও কাপড় ছুড়ে ফেলে লেকের পানিতে ডুব দেয় এবং রাতের জন্য লতা-গুল্মে বিছানা তৈরি করে।  
সবাইকে, শুভ রাত্রি, মাইক বলে। কিন্তু কেউই জবাব দেয় না- সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে!

৬. উইলো গাছের বাড়ি  
পরদিন, মাছ আর লেটুস দিয়ে খাবার খেয়ে শিশুরা তাদের বাড়ি বানাতে উইলো বনে যায়। ভাগ্যগুণে সেদিন সকালে জ্যাকের বড়শিতে বেশি বেশি মাছ ধরা পড়ে, কারণ ওদের মজুদ প্রায় শেষের পথে। আলু থাকলেও, খুব বেশি নেই। জ্যাক ঠিক করে নৌকা নিয়ে রাতের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে ফিরে আসতে হবে। কোনো সন্দেহ নেই খাবার নিয়ে তাদের বড় বেশি সমস্য পোহাতে হবে।  
সারাটা সকালজুড়ে চারটে বাচ্চা ঘর বানাতে কঠোর পরিশ্রম করে। বেড়া দেবার জন্য জ্যাক যথেষ্ট পরিমাণে কচি উইলো’র ডাল কাটে। মাইক উইলো গুড়ি পোতার জন্য গর্ত খুড়ে। সে এবং জ্যাক গভীর করে ওগুলো পুতে এবং মেয়েরা ছেলেদের বানানো সুন্দর আর সোজা উইলো’র দেয়াল দেখে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে।
একটু পরপর উইলোর ডাল দেয়া হয়, আর জ্যাক মেয়েদের দেখায় কীভাবে সরু ডাল দিয়ে বুনে দণ্ডগুলোকে দেয়ালের সঠিক অবস্থানে ধরে রাখতে হবে এবং শিখে ফেলার পর ফাঁকা ভরাট করার কাজটাও খুব সহজ মনে হয়, তবে ওদের খুব গরম বোধ হতে থাকে।  
মাইক সকাল সকাল জল আনতে ঝর্ণার কাছে যায় এবং ফিরে আসে! সবাই মিলে ওর পুরোটা পান করে এবং শীতল হয়। এমন ছায়া ঘেরা সবুজ উইলো ঝোপের ভেতরেও রোদের তাপ অনেক বেশি।  
এবার একে একটা বাড়ি বলে মনে হচ্ছে, আনন্দে জ্যাক বলে। চেয়ে দেখো, এই সামনের দেয়ালের এই ফাঁকটিকে আমরা দরজা হিসেবে ব্যবহার করতে পারব। পরে উইলো’র ছাল আর লম্বা লাঠি বুনে বানিয়ে নিলেই হবে, আর খোলা ও বন্ধ করার জন্য কবজার মতো কিছু একটা বুনে নিয়ে জুড়ে দিলেই কাজ শেষ। তবে এখনই আমাদের কোনো দরজার দরকার নেই।  
সেদিন সবগুলো দেয়ালের কাজ শেষ হয়, আর মেয়েরা এমন করে তাতে ডাল বুনে দেয় যেন দেয়ালগুলো শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এবং দেখতেও সুন্দর আর পুরু বলে মনে হয়।  

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।