ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫১) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
মাইক ও মেয়ে দুটি উইলো বাড়ির সামনের দিকে এসে বসে, জ্যাকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। মাইক ভিজে একাকার হয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে থাকে।

জ্যাকও অসহায়ের মতো ভিজবে, সে বলে। এই দুধটা ধরে থাকো, মেয়েরা।

এটা ধরে যতটুকু গরম হয়ে নেওয়া যায়। খানিকটা পান করে নেওয়া যাক তাতে করে গরম হওয়া যাবে। আগুন নেই বলে সেদ্ধ করা যাবে না।
জ্যাকও ভিজে একাকার হয়ে উইলো বাড়িতে আসে। তবে সে আগের মতোই দাঁত বের করে হাসে। কোনো কিছুই জ্যাককে দমাতে পারে না।

এই, এই! সে বলে। আমি মাছের মতো ভিজে গেছি! পেগি, আমার ওই কাপড় কোথায় রেখেছ, কালকে রাতে যেগুলো আনলাম?

ও হ্যাঁ! আনন্দে, পেগি চিৎকার করে ওঠে। অবশ্যই! তুমি আর মাইক ওগুলো পরে ফেলতে পারো।
আরে, ওগুলো সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই, মাইক বলে। জ্যাক কেবল তিনটে অন্তর্বাস, একটা বা দুটা শার্ট, আর একটা ওভারকোট এনেছে।

ঠিক আছে, আমরা একটা করে অন্তর্বাস এবং একটা শার্ট পরতে পারি, আর আমি ওভারকোটটা পরবো, আর তুমি পুরনো কম্বলটা মুড়ি দিতে পারো, সেটা আমি তোমার ওপর জড়িয়ে দিচ্ছি! জ্যাক বলে।

ছেলেরা তাদের ভেজা কাপড় খুলে রাখে এবং শুকনো কাপড় পরে নেয়। বৃষ্টি থামলেই আমি তোমার ভেজা কাপড় সব শুকাবার জন্য ঝুলিয়ে দেবো, চিপে বৃষ্টির জল বের করতে করতে পেগি বলে।
আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, উল্টাপাল্টা শার্টের বোতাম লাগিয়ে, মাইক বলে।

ধুর, মোমবাতিটা জ্বালো, জ্যাক বলে। বাতিগুলো তাহলে কেনো আনা হয়েছে? নোরা, একটা মোমবাতি খুঁজে বের করো আর সেটা জ্বালাও। ওর ভেতর একটা নতুন মোমবাতি দাও। তুমিই ভালো জানো মোমবাতিগুলো কোথায় রেখেছ, কি জানো না? ওই কোনার দিকে কোথাও আছে।

নোরা বাতিটা খুঁজে পায়। ওর ভেতর নতুন একটা মোমবাতি দেওয়া দরকার। সে একটা দিয়াশলাই বাক্স খুঁজে পায় এবং বাতিটা জ্বালে। মাইক ছাদে আঁটা একটা তারকাটার সঙ্গে বাতিটা ঝুলিয়ে দেয়। উইলো ঘরের গাদাগাদি করে থাকা দলটার ওপর মোলায়েম আলো ছড়িয়ে, ওটা সেখানে দোল খেতে থাকে।

এবার এটাকে সত্যিকার একটা বাড়ি বলে মনে হচ্ছে, খুশিতে, নোরা বলে। এটা আমার পছন্দ। খুব আরামদায়ক। ছাদ বা দেয়াল ফুঁড়ে বৃষ্টির একটা ফোঁটাও ভেতরে আসছে না।

এবং ভেতরে বাতাসের লেশমাত্রও নেই! জ্যাক বলে। এতে করে বোঝা যাচ্ছে আমরা কতটা ভালোভাবে ফার্ন আর গুল্ম দিয়ে দেয়ালগুলো মুড়ে দিয়েছি। বাইরে বাতাসের হুঙ্কার শোনো! এই অবস্থায় বাইরে থাকা যেত না! থাকার জন্য উইলো বাড়ি আছে বলে কত ভালো হলো! বাইরের শোবার ঘরটা আজ রাতে একেবারেই আরামদায়ক হবে না!

চলবে...

ইচ্ছেঘুড়ি

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।