ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

যেভাবে এলো টেডি বিয়ার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
যেভাবে এলো টেডি বিয়ার যেভাবে এলো টেডি বিয়ার

ঢাকা: বিশ্বের জনপ্রিয় সফট টয়গুলোর মধ্যে অন্যতম টেডি বিয়ার। নরম তুলতুলে এ খেলনা দেখলে ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও যেন একটু আদর না করে থাকতে পারেন না। এই টেডি বিয়ারের উৎপত্তি হয়েছে কিন্তু মজার একটি ঘটনার মাধ্যমে।

১৯০২ সালের নভেম্বর মাসের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তখন থিওডর রুজভেল্ট।

প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট আবার শিকার করতে খুব পছন্দ করতেন। একদিন তিনি সঙ্গী-সাথী নিয়ে মিসিসিপির এক জঙ্গলে গেলেন শিকারের খোঁজে।  

কিন্তু সারাদিন চেষ্টা করেও কোনো প্রাণী শিকার করতে পারলেন না তিনি। প্রেসিডেন্টের সঙ্গীরা তাই বুদ্ধি করে একটা ভাল্লুক গাছে বেঁধে রাখলেন। তারপর প্রেসিডেন্টকে আহ্বান করলেন সেই ভাল্লুকটা শিকার করতে।  

কিন্তু অসহায় ভাল্লুকটিকে দেখে আবেগী হয়ে উঠলেন রুজভেল্ট। সঙ্গীদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। প্রেসিডেন্টের এই চমৎকার ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। জনপ্রিয় পত্রিকাগুলো এনিয়ে বেশ কিছু কার্টুন প্রকাশ করে সেসময়।

১৯০২ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত কার্টুন

ঘটনাটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্রুকলিনের পুতুল নির্মাতা মরিস মিচটম ও তার স্ত্রী রোজ ভালুকের মতো দেখতে তুলতুলে একটি পুতুল তৈরি করেন। প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের ডাক নাম ছিল টেডি। তাই পুতুলটিরও নাম দেওয়া হয় টেডি বিয়ার।  

এরপর বাণিজ্যিকভাবে পুতুলটি বিক্রির জন্য প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অনুমতি পেয়ে যান তারা। ফলে টেডি বিয়ার নামক পুতুলটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসে। পরবর্তীতে রুজভেল্টের নির্বাচনী প্রচারণাতেও ব্যবহার করা হয় টেডি বিয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।