ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬১) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
জ্যাক লণ্ঠানটা বৃত্তাকারে দোলায় এবং কোনা কাঞ্চি সব আলোকিত হয়ে ওঠে। খুব বড় একটা গুহা, কিন্তু ভেতরের সবটা খুব সহজে দেখতে পাওয়া যায় বলে লুকাবার জন্য খুব একটা কাজে আসবে না। এখানে সেখানে বড় বড় মাকড়সার জাল ঝুলছে, সঙ্গে বাদুড়ের ছেতো গন্ধ। 

মাইক সবগুলো দেয়াল উঁকিঝুঁকি মেরে ঘুরে দেখে গুহার একেবারে পেছনের দিকে খুব কৌতূহলজনক একটা জিনিস আবিষ্কার করে। সেখানে প্রায় ছয় ফুট নিচে বিশাল একটা ফাটল।

তার পেছনে প্রায় দু’ফুটের মতো চওড়া একটা উন্মুক্ত পথ। প্রথম দেখায় মনে হবে ফাঁটলের পেছটা বুঝি একটা পাথর দিয়ে ঠাসা। কিন্তু না, সেখানে সরু একটা খোলা পথ রয়েছে, পাহাড় থেকে বেরিয়ে আসা এক টুকরো শিলাখণ্ড পথটিকে খানিকটা আড়াল করে রেখেছে।  

এখানে দেখো! উত্তেজানায় মাইক চেঁচিয়ে ওঠে। এখান দিয়ে পাহাড়ের দিকে যাওয়ার একটা পথ রয়েছে। এদিকে এসো, জ্যাক, তোমার বাতিটা দাও। বেশিদূর যাওয়া গেলে খুব অবাক হবো।

জ্যাক তার লণ্ঠনটা বাড়িয়ে ধরে এবং অন্যরা অস্বাভাবিক সেই চোরা পথটা দেখতে পায়, দেয়ালের ফাটলের ভেতর দিয়ে যার প্রবেশপথ। জ্যাক ফাটলের ভেতর ঢুকে পড়ে এবং সরু পথটা দিয়ে কিছুদূর যায়।

এদিকে এসো! সে চিৎকার করে ডাকে। সব ঠিক আছে! এখানটায় টাটকা বাতাসের ঘ্রাণ পাচ্ছি, আর মনে হচ্ছে পথটা কোথাও গেছে।

বাচ্চারা উত্তেজনায় তার পেছনে ভিড় করে। দারুণ একটা অভিযান! 

পথের এখানে সেখানে ভাঙা ও বাচ্চাদের মাঝে-মধ্যেই পাথর আর পড়ে থাকা মাটির স্তূপের ওপর পা ফেলে এগোতে হচ্ছে। মাথায় একটু পর পর গাছের শেকড় এসে লাগছে। কোথাও কোথাও পথটা খুবই সরু, তবে যাওয়া যাচ্ছে। একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছাবার পর জ্যাক পাহাড়ের মাঝ বরাবর আরো বিশাল একটা গুহার খোঁজ পায়! হাতের লণ্ঠনটা বাড়িয়ে চারপাশটা ভালো করে দেখে। বাতাসটা খুব তরতাজা আর মিষ্টি। কেনো এমন লাগছে?

দেখো! ওপরের দিকে আঙুল তাক করে, নোরা চেঁচিয়ে ওঠে। আমি দিনের আলো দেখতে পাচ্ছি! 
রহস্য দ্বীপ
সত্যিই, অনেক ওপর দিয়ে, দিনের আলোর উজ্জ্বল একটা রেখা অন্ধকার গুহার ভেতরে এসে ঢুকেছে। জ্যাক অবাক হয়। ভেবেছিলাম কোনো খরগোশ হয়তো পাহাড়ের ভেতর গর্ত খুঁড়ে রেখেছে, আর সেটাই হয়তো আচমকা এই গুহার ভেতর ঢুকে পড়েছে। আর ওদের গর্তগুলো যেখানে আছে সেখান দিয়েই আমরা ওই দিনের আলোটা দেখতে পাচ্ছি। ভালো- যেভাবেই হোক ফুরফুরে বাতকাসটা ভেতরে ঢুকছে!

বড় গুহাটা থেকে সরু একটা পথ ডানদিকে আরো একটা গুহায় এসে মিশেছে। এই পথটা এতই নিচু যে বাচ্চাদের সেটার ভেতর হামাগুঁড়ি দিয়ে পথ চলতে হয়। এই দ্বিতীয় গুহাটা পাহাড়ের দিকে গেছে সেটা দেখতে পেয়ে এবং ওর সরু প্রবেশপথের কারণে হামাগুঁড়ি দিয়ে এখানে আসা খুব শক্ত হবে এমন আর একটি গুহাও এখানে নেই। এটা বুঝতে পারার পর ওরা খুব অবাক হয়।

চলবে….

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।