ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬২) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর] 
ঠিক আছে, আমরা এখানে আসবো, জ্যাক বলে। ‘আমরা যে বড় গুহাটা আবিষ্কার করেছি ওর ভেতকার পথটা দিয়ে আরো বড় একটা গুহায় যাওয়া যায়। আর বড়টা দিয়ে আমরা ছোট্ট এই গুহায়ও ঢুকে পড়তে পারবো, যার মুখটা পাহাড়ের দিকে এবং এর মুখটা এতোই ছোট যে বড় কোনো লোকের পক্ষে এর ভিতরে ঢোকা সম্ভব হবে না!
মুরগি রাখা সেই গুহার কী হবে? নোরা জিজ্ঞেস করে।

ওটা একেবারে আলাদা একটা গুহা, জ্যাক বলে। আমরা গিয়ে দেখে আসবো।

ওরা তাই শেষ গুহার ছোট্ট মুখ দিয়ে বেরিয়ে মুরগি রাখার গুহায় যায়। কিন্তু সেটা একেবারে সাদাসিধে, খানিকটা নিচু, গোলাকার সেই গুহার ভেতর বাদুড়ের তীব্র কটূ গন্ধ।  

ওরা বেরিয়ে এসে রোদের আলোয় পাহাড়ের পাশে বসে। শীতল আর অন্ধকার গুহা ছেড়ে বেরিয়ে এসে বাইরের উষ্ণতায় বসে থাকতে খুব ভালোলাগে।  

এবার শোনো, চিন্তুকের মতো জ্যাক বলে। ওই গুহাগুলো, এই গ্রীষ্মে কেউ আমাদের খোঁজে আসলে সুন্দর কাজে দেবে। তখন ডেইজিকেও আমরা ওই ভেতরকার বড় গুহার ভেতর নিয়ে রেখে আসতে পারবো।

ওহ্, জ্যাক! কখনই সে ওই সরু, বাতাস চলাচলের পথ দিয়ে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করতে পারবে না, পেগি বলে।  
আরে, হ্যাঁ, ও সেটা পারবে, জ্যাক বলে। আমার সঙ্গে সে ঠিকই আসবে, তারচেয়ে বড় কথা হলো ডেইজিকে ওর ভেতর ঢোকা আর বেরুনো চর্চা করতে হবে, যাতে সময়মতো ও সত্যি সত্যি ওর ভেতর ঘণ্টা খানেকের জন্য লুকিয়ে থাকার সময়, কিছু মনে না করে। ওকে গুহায় আটকে রেখে, পাহাড়ের ওপর দিয়ে হাম্বা ডাক বেরুতে দেওয়াটা খুব ভালো কিছু হবে বলে মনে হয় না!

সবাই হাসে। মাইক মাথা ঝাঁকায়। একেবারে ঠিক, সে বলে।  
ডেইজিকে চর্চা করতে হবে! আমার ধারণা মুরগিরাও ওখানে খুব ভালো মতোই থাকতে পারবে, তাই না? 
খুব সহজেই, জ্যাক বলে। এবং আমরাও!
শুধু নৌকা আর আমাদের বাড়িটিকে আমরা গুহার ভেতর নিয়ে যেতে পারব না, মাইক বলে।  

জলের কিনারায় কাঁটা ঝোপের ভেতর থাকা অবস্থায় নৌকাটিকে কখনই খুঁজে পাওয়া যাবে না, জ্যাক বলে, আর আমার সন্দেহ হয় কেউ কখনও উইলো বাড়িটি খুঁজে পাবে কিনা, কারণ আমরা ওটাকে ঘন বনের একেবারে মাঝখানে বানিয়েছি। আমাদের সবাইকে ঘন বন ঠেলে ওর কাছে যেতে হয়! বড়রা কখনই সেখানে যেতে পারবে না। কেনো, ঝোপ আর বন আরো ঘন হয়ে এলে তো আমাদেরও গাছ বেয়ে তারপর উইলো বাড়িতে যেতে হবে!

আমার এখনই ইচ্ছে হচ্ছে কেউ একজন চলে আসুক! পেগি বলে। দূরে কোথাও গিয়ে লুকিয়ে থাকাটা খুবই মজার! খুব বেশি মজা করা হয়ে যাচ্ছে না! জ্যাক বলে। মনে রেখো, কাউকে দেখে লুকিয়ে পড়ার আগে এখনও আমাদের অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে!

এখনই সবকিছু ভেবে চিন্তে রাখলে কেমন হয়? মাইক বলে। তাহলে আমাদের সবার জানা থাকবে এমন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে।

হ্যাঁ, জ্যাক বলে। ঠিক আছে, আমি ডেইজিকে রাখবো, যাও সোজা গিয়ে ওকে নিয়ে এসো। মাইক, তুমি মুরগি দেখবে এবং ওদের বস্তায় ভরে, সোজা গুহায় নিয়ে আসবে। পেগি, তুমি আগুন নেভাবে এবং গরম লাঠি-শোটা সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে আসবে। তুমি বেড়াতে আসাদের ফেলে যাওয়া সিগারেটের প্যাকেট, টিন, আর কার্ডবোর্ডের কার্টনটিও বের করে আনবে, যাতে মনে হয় আনন্দভ্রমণে আসা লোকেরা তখনও সেখানেই আছে, তখন আর কেউই আগুনের অবশিষ্ট বা টুকটাক এটাসেটা নিয়ে অযথা মাথা ঘামাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।