ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

ইচ্ছেঘুড়ি

আমাদের চোখ কতোটা বিশ্বাসযোগ্য? (পর্ব-২)

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫৫, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
আমাদের চোখ কতোটা বিশ্বাসযোগ্য? (পর্ব-২) ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা: আমাদের চোখকে বিভ্রান্ত করা খুবই সহজ। মস্তিষ্ক পুরোপুরি নিরপেক্ষভাবে ভাবতে পারে না। সে প্রভাবিত হয় অভ্যাস, স্মৃতি ও পারিপার্শ্বিকতা দিয়ে। বস্তুর বিশেষ ধরনের উজ্জ্বলতা, রঙ আকার, পরিপ্রেক্ষিত বা অবস্থান ইত্যাদি খুব সহজেই বিভ্রান্ত করতে পারে চোখকে।

এবারের পর্বে দেখে নিই, মানুষের দৃষ্টি বিভ্রম ঘটাতে শিল্পীরা যেসব কৌশল অবলম্বন করেছেন।

হাতি
বলতে হবে, হাতিটার কয়টা পা।

ভাল করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, পাগুলো যেন ঠিক জায়গায় নেই। শরীর থেকে পাগুলো নেমে মাটি স্পর্শ করছে না। আবার মাটিতে রাখা পাগুলো শরীরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছে না। দৃষ্টি বিভ্রম তৈরির জন্যেই শিল্পী বিশেষ কৌশলে ছবিটা এঁকেছেন।

পাখির ঠোঁট
ছবিতে কি দেখা যাচ্ছে? এটা কি হাঁস, নাকি খরগোশ? ছবিতে আসলে দু’টি প্রাণীকেই নির্দেশ করা হচ্ছে। ডান দিকের অংশটা হাঁসের ঠোঁট হিসেবেও কল্পনা করা যায়, আবার খরগোশের কান হিসেবেও ধরে নেওয়া যায়। একই অবয়বে দু’টি প্রাণী ফুটিয়ে তোলা হয়েছ।

মানুষের ছবি
ছবিতে দুজন মানুষ রয়েছে। খুঁজে বের করো।     

পাখি
বাঁয়ের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বড় পাখি খাবার মুখে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একই ছবি রয়েছে ডানে। ফারাকটা কেবল ছবিটা উল্টে দেওয়া। এতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি নৌকায় বসে মাছ ধরছেন।

সানুষের ছবি
দূর থেকে দেখলে ছবিতে দু’জন বুড়োবুড়ির মুখমণ্ডল দেখাবে। ভাল করে খেয়াল করলে দুজনের মুখমণ্ডলেই দুটি আলাদা আলাদা মানুষের অবয়ব ফুটে উঠবে। শিল্পী অপটিক্যাল ইল্যুশন ব্যবহার করে একই ছবির মধ্যে দু’টি আলাদা বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেছেন।

আমাদের চোখ কতোটা বিশ্বাসযোগ্য? (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।