ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭০)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭০) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
একবার ছোট্ট একটা মাকড়সা পেগির নাক থেকে কাঁধ পর্যন্ত জালবোনে। আর নোরা উঠে সেটা দেখতে পেয়ে ছেলেদের ডাকে। পেগির নাকের ওপর ছড়িয়ে থাকা একটা জাল দেখে সবাই খুব হাসাহাসি করে, আর তার মাঝখানে একটা পুঁচকে মাকড়সা! ওরা পেগিকে জাগিয়ে ঘটনাটা বলে। কিন্তু সে তাতে কিছুই মনে করে না! 

মাকড়সা শুভ! সে বলে। আজ আমার ভাগ্যে ভালো কিছু আছে! আর সেটাই ঘটতে দেখা যায়।

কারণ সেদিন সে তার কেচিটা খুঁজে পায়, সপ্তাহখানেক আগে যেটা সে হারিয়ে ফেলেছিল!

সবাই খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। পুব আকাশে তখন সবে দিনের আলো রুপালি একটা আভা ছড়াচ্ছে। বাচ্চাদের ঘুম ভাঙার পর কাছেই একটা রবিন টিক-টিক-টিক করে সুরেলা কণ্ঠে গেয়ে ওঠে। পাখিটা ওদের একটুও ভয় পায় না, কারণ ওরা সবাই পাখি পছন্দ করে আর খাওয়া শেষে ওদের দিকে সামান্য খাবার ছুড়ে দেয়। রবিনটা খুব পোষ মেনে গেছে আর রান্নার সময় প্রায়ই সেটা পেগির কাঁধে এসে বসে। সেও পাখিটাকে খুব পছন্দ করে।

ওরা সবাই বিছানা ছাড়ে এবং লেকের পানিতে গোসল করে আসে। পেগি ভাবে তাদের আরো একটা জিনিসের দরকার। এক খণ্ড সাবান! তাদের টুকরোটা ফুরিয়ে গেছে, তাই বালি দিয়ে ময়লা ঘষা খুব কষ্টের, সাবান না থাকায় তাদের এখন কাজটা এভাবেই সারতে হচ্ছে। জ্যাক তার মনের তালিকায় সেটা ঢুকিয়ে নেয়। তাতে মোট একুশটা জিনিস তাদের দরকার! প্রচুর জিনিস! 

মাইক আর আমার মাশরুম তুলে আনতে খুব বেশি সময় লাগবে না, নৌকায় উঠে বৈঠা দিয়ে ঠেলা দিতে দিতে, সে বলে। যাও তুমি আর নোরা গিয়ে স্ট্রবেরি তুলে আনো, পেগি। ফিরে এসে যাতে গরম কিছু খেতে পারি তাই কেটলিটা আগুনে চড়িয়ে রেখো। এই সকালটা ভীষণ কনকনে ঠাণ্ডা।  

সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওদের চারজনের সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ে! মাইক এবং জ্যাক মাশরুম মাঠের অনেক দূর পর্যন্ত গিয়ে যতটা পারা যায় মাশরুম তুলে সঙ্গে আনা বড় একটা বস্তায় জমা করে। নোরা ও পেগি দ্বীপের বুনো স্ট্রবেরি তোলে। অবশ্যই নোরা যেখানে চমৎকার সব স্ট্রবেরি দেখেছিল সেখান থেকে। চারদিকে মনোরম পাতার মাঝে গাঢ় লাল স্ট্রবেরি চকচক করছে, আর কিছু কিছু বেরি একেবারে বাগানের মতোই বড়।  

আমাদের সবুজ ছোট্ট ঝাঁপিতে ওগুলো দেখতে খুব চমৎকার দেখাচ্ছে, তাই না? খুশিতে, পেগি বলে। মেয়েরা তাদের কয়েকটা সাজিতে প্রথমেই স্ট্রবেরি পাতা দিয়ে গদি বানিয়ে নেয়। তারপর তার ভেতর আলতো করে পাকা স্ট্রবেরি সাজাতে থাকে। আমার ধারণা জ্যাক এর প্রতিটা ডালা ছয় পেন্স করে বেচে আসতে পারবে, পেগি বলে। চাইলে এখনই খাওয়া যায়।

মেয়েরা মোট বারোটি শনের ঝুঁড়ি ভরে এবং এরপর আগুন ধরাতে ক্যাম্পে ফিরে যায়। খুব তাড়াতাড়ি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে, আর পেগি সিদ্ধ হতে ওর ওপর কেটলি ঝুলিয়ে দেয়। নোরা মুরগিদের খাবার দিতে চলে যায়।

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।