ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

দুষ্টু মেয়ের অদ্ভুত রূপকথা: অ্যান মাকোসিনস্কি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮
দুষ্টু মেয়ের অদ্ভুত রূপকথা: অ্যান মাকোসিনস্কি অ্যান

সেদিন খুব মন খারাপ করে বসে ছিল অ্যান। কারণ, তার এক বন্ধুর বাসায় ছিল না কোনো ইলেক্ট্রিসিটি। ফলে বন্ধুটি কখনই সন্ধ্যার পর স্কুলের হোমওয়ার্ক করতে পারতো না। বন্ধুর এ সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করে অ্যান।

হঠাৎ এক অদ্ভুত আইডিয়া আসে অ্যানের মাথায়।  ভাবে, আমি কেন এমন একটা টর্চলাইট তৈরি করছি না, যা ব্যাটারি ছাড়াও আলো দেবে? 

অ্যান সময় নষ্ট না করে কাজ শুরু করে দেয়।

তার বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর। কিন্তু সে এরইমধ্যে বিভিন্ন যন্ত্র সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে।  অবসর সময়ে যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ খুলে সেগুলো আবার জোড়া দেয়, পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করে নিজের খেলনা।

অ্যানের কাজকর্ম দেখে মানুষ জিজ্ঞেস করে, ব্যাটারি ছাড়া কীভাবে জ্বলবে তোমার টর্চলাইট?

অ্যান বলে, আমাদের দেহ থেকে যে তাপ উৎপন্ন হয়, সেটা থেকেই জ্বলবে আমার টর্চলাইট।

অবশেষে অ্যান তার রহস্যময় টর্চলাইটটি তৈরি করে। এটা জ্বালাতে কোনো ব্যাটারির প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই সৌরশক্তি বা বায়ুশক্তির। হাতের মুঠোয় রাখলে দেহের তাপ থেকে জ্বলতে শুরু করে এটি।

এভাবেই বন্ধুর সমস্যা সমাধান করে অ্যান। শুধু তাই নয়, টর্চলাইটটি গুগলের বিজ্ঞান মেলায় উপস্থাপন করলে অ্যান জিতে নেয় প্রথম পুরস্কার। বর্তমানে অ্যানকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় উদ্ভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  

অ্যান চায়, বিশ্বের যেসব প্রান্তে ইলেক্ট্রিসিটি সুবিধা নেই সেসব অঞ্চলে তার টর্চলাইটটি বিনামূল্যে সরবরাহ করা হোক। প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও উন্নত এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত করার স্বপ্ন দেখে অ্যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।