ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

পরির হাসি | সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্

গল্প/ইচ্ছেঘুড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
পরির হাসি | সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্ প্রতীকী ছবি

কী ব্যাপার? সব পরির মন খারাপ কেন? যেদিকেই যাচ্ছি, সবাই গোমড়া মুখে বসে আছো যে! কেউ কিছু বলছে না। শেষে সোজা চলে গেলাম পরিরানির ঘরে। ওমা! পরিরানির কোলে একটা পরিবাবু। আমি খুশিতে ডগমগ হয়ে আদর করতে লাগলাম। 

‘রানিমা, আপনার বাবু হয়েছে জানতাম নাতো। ’ পরিরানি বললো, ‘তুমি এসব কী বলো সুমু! আমরা এই বাচ্চাটাকে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।

’ 

কেন, রানিমা?’

তুমি দেখছ না, বাবুটাতো দেখতে মোটেও আমাদের মতো হয়নি। গায়ের রং কালো, চেহারাও যেন কেমন! হায়! কী করে মুখ দেখাবো আমরা?’ 

পরিরানির আফসোস শুনে খুব কষ্ট পেলাম। বললাম, ‘রানিমা আপনি কেন এত কষ্ট পাচ্ছেন? এই ছোটপরি কী এমন বিপদে ফেলল আপনাদের!’ 

‘কী বল তুমি! আমরা সবাই এত সুন্দর। সুন্দরের তুলনা দেওয়া হয় আমাদের সঙ্গেই। সেই আমার ঘরেই এমন! তোমরাইতো মুখ ফিরিয়ে নেবে। ’ 

‘রানিমা, আপনারা মানুষের মন জয় করেছেন। তবে সুন্দর চেহারা দিয়ে নয়, সুন্দর মন দিয়ে। দিন শেষে আমরা তাকেই মনে রাখি, যার মন সুন্দর। আমরা বলি, পরি মানেই পবিত্র। সে সবার ভালো কামনা করে। আপনাদের সুন্দর মনটাকেই যে আমরা ভালবাসি। ’ 

এবার পরিরানির মুখে হাসি ফুটলো। তার সঙ্গে হেসে উঠলো সারা পরিরাজ্য। পরিবাবুর হাসিটা সত্যিই খুব পবিত্র!

...বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এএ    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।