ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

গলা ফোলা কোলা ব্যাঙ | বিএম বরকতউল্লাহ্

গল্প/ইচ্ছেঘুড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
গলা ফোলা কোলা ব্যাঙ | বিএম বরকতউল্লাহ্

ডোবার ধারে কোলা ব্যাঙের মেলা বসেছে। ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করে ডাকাডাকি করছে।

তাদের গলা বেলুনের মতো ফুলে উঠছে। ব্যাঙের ডাক শুনে এক বিড়ালছানা ছুটে গেলো ডোবার ধারে। ছানাটি ব্যাঙের মতো করে ডাকতে চাইলো। আওয়াজ হয় ‘মিঁয়াও’। নাহ্ ‘মিঁয়াও’ ডাক আমার মোটেও ভালো লাগে না। আমি ডাকবো কোলা ব্যাঙের মতো, বললো বিড়ালছানা।

একটি কোলা ব্যাঙ থপ্ থপ্ করে এগিয়ে এলো বিড়ালছানার কাছে।

বিড়ালছানাটি বললো, আমি যদি ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ করে ডাকতে পারতাম! আর তুমি যদি ‘মিয়াঁও’ করে ডাকতে পারতে, ব্যাপারটা দারুণ মজার হতো!
কোলা ব্যাঙটি বললো, আমরা সেটা কীভাবে করতে পারি?

খুব সোজা, বললো বিড়ালছানা। আমি আমার ‘মিয়াঁও’ ডাক তোমাকে দেবো আর তুমি তোমার ‘গলাফোলা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ দিয়ে দেবে আমাকে। তাহলেই দারুণ একটা মজার ব্যাপার হয়ে যাবে।

দু’জনেই রাজি। ব্যাঙ নিলো ‘মিয়াঁও’ ডাক ও বিড়ালের লেজ আর বিড়ালছানা নিল ‘গলাফোলা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’।

তারপর বিড়ালছানা গলা ফুলিয়ে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করে ডাকলো আর কোলাব্যাঙ লেজ নেড়ে ডেকে উঠলো মিয়াঁও। বাহ্ চমৎকার!

পিপলুরা রাতের খাবার খেতে বসেছে। এমন সময় বিড়ালছানাটি ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডেকে উঠলো। ওরা চমকে উঠে বললো, আরে! ঘরের ভেতরে ব্যাঙ ডাকে কেন? সবাই পিঠ বাঁকা করে পা তুলে বসলো। পিপলু বললো, আজব ব্যাপার! ওটা ব্যাঙ না ভূত! দেখতে লাগে বিড়ালছানার মতো আর ডাকে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ! তারা হাতের কাছে যা পেলো তাই নিয়ে তাড়া করলো। বিড়ালছানাটি ঘ্যাঙর ঘ্যাং করে এক দৌড়ে চলে গেলো ডোবার ধারে।

সেখানে গিয়ে দেখে কয়েকটা ব্যাঙ একটি ব্যাঙের উপর লাফিয়ে পড়ছে। একটি ব্যাঙ মিয়াঁও মিঁয়াও করছে। এক ব্যাঙ বলছে, এটা বিড়ালছানা ছাড়া আর কিছুই না। ও এখানে কেন? ধরো, ওকে ধরো। আমাদের ক্ষতি করতে এসেছে, কাদায় পুঁতে ফেলো ওকে। ব্যাঙটি কাদার ভেতর দিয়ে কোনো মতে চলে গেলো সেই গাছের তলে, যেখানে বিড়ালছানাটি বসে আছে।

ব্যাঙটি হাঁপাতে হাঁপাতে গিয়ে বললো, তাড়াতাড়ি আমার জিনিস আমাকে ফেরত দাও। আর এই নাও তোমার লেজ আর মিয়াঁও। বিড়ালছানা বললো, ভারি বিপদ!

বিড়ালছানা বললো, আমাদের নিজের জিনিস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল।
ব্যাঙ বললো, আসলে অন্যের জিনিস নিজের বলে চালাতে গেলে এমনই বিপদে পড়তে হয়। একথা বলে ওরা যার ঘরে চলে গেলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।