কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীতে সাড়ে ৩২ বছরের বেশি সময় আগে ওই সময়ের জেলা পরিষদ সদস্য খাইরুল আমিন সিকদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এ মামলায় বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা হলো।
রায়ে সাবেক পৌর মেয়র, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলা থেকে ২০ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
দুপুর ২ টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভি জহির উদ্দিন ও অপর ভাই নাসির উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ও সাধন দাশ। রায় ঘোষণার সময় সাধন দাশ ও অপর ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের পিপি বলেন, আদালত মনে করছেন এটি একটি রাজনৈতিক বিরোধে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড। ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাজা দেওয়া হয়। আর ২০ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে গুলিতে খুন হন ওই সময়ের জেলা পরিষদ সদস্য খাইরুল আমিন সিকদার। তিনি গোরকঘাটা এলাকার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার বাসিন্দা ও মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ওই বছরের ২২ নভেম্বর। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
তিনি জানান, মামলায় ৩৪ জন সাক্ষ্য প্রদান শেষে যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন হয়েছিল ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর। যুক্তিতর্ক শেষে চলতি ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণা তারিখ ধার্য্য করলে আদালতে নিয়মিত প্রক্রিয়ায় তা বিলম্ব হয়ে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এসবি/এসএ